শরীয়তুল্লাহ সোহন, ওয়েব ডেস্কঃ
দেশে কয়লাসংকট নিয়ে দেশের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলো পাল্টাপাল্টি দাবি করছে। আজ সোমবার এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। কেন্দ্রীয় সরকার বলছে, সবকিছু ঠিকঠাকই আছে। দেশে কয়লাসংকট নেই। তাই বিদ্যুৎ বিপর্যয়েরও আশঙ্কা নেই।
অন্যদিকে দেশের একাধিক রাজ্য সরকার বলছে, দেশে কয়লাসংকট থেকে তারা বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে। কয়লাসংকটের বিষয়টি সামনে এনে অনেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছেন।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, কয়লা সরবরাহের সংকটের মধ্যে বিহার, রাজস্থান ও ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দারা দিনে ১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থাকছে।
কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী আরকে সিং বলেন, দেশে কয়লাসংকট নিয়ে অহেতুক আতঙ্ক তৈরি করা হয়েছে। তাঁদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ কয়লার মজুত আছে। তাঁরা সারা দেশে কয়লা সরবরাহ করে যাচ্ছেন। যাদের কয়লা লাগবে, তাঁদের তা বললেই পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
আরকে সিং আরও বলেন, বর্ষাকালে কয়লাখনিতে পানি ঢুকে যায়। এ কারণে প্রতি বর্ষা মরসুমে কয়লার সরবরাহ কমে যায়। কিন্তু কয়লার চাহিদা তো আর কমে না। তবে কয়লাসংকটের বিষয় পুরোপুরি এড়িয়ে যাননি কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। তিনি বলেন, কয়লাসংকট সৃষ্টির জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি চলতি বছর দেশে ভারী বৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি দায়ী।
প্রহ্লাদ যোশীর জানান, আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী আরকে সিংয়ের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া। কয়লার যথেষ্ট মজুত আছে বলে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী যে দাবি করেন, সেটাকে দায়িত্বহীন বলে অভিহিত করেন মনীশ সিসোদিয়া।
মনীশ সিসোদিয়া বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মারাত্মক আকার ধারণ করলে রাজধানীতে অক্সিজেনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছিল। তখন কেন্দ্রীয় সরকার অক্সিজেন সংকটের বিষয়টি বারবার অস্বীকার করেছিল। কয়লাসংকটের ক্ষেত্রেও ঠিক একই বিষয় দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা সরানোর ইস্যুতে বেরল না রফাসূত্র, ভেস্তে গেল সেনাস্তরীয় বৈঠক
মনীশ সিসোদিয়া আরও বলেন, ‘আমরা আদতেই আজ সংকটের মধ্যে রয়েছি’। কয়লাসংকটের বিষয় নিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে ইতিমধ্যে চিঠি দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। চিঠিতে তিনি সতর্ক করে বলেন, কয়লার সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে রাজধানী শহরটি ‘বিদ্যুৎহীন’ (ব্ল্যাকআউট) হয়ে পড়তে পারে।
আরও পড়ুনঃ উত্তরপ্রদেশে রামলীলার মঞ্চে নজির গড়ল মুসলিম শিল্পীদের অভিনয়
পরিস্থিতিকে বেশ উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেন অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগন মোহন রেড্ডি। এ ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জরুরি ব্যক্তিগত মনোযোগ আকর্ষণ করেন। গতকাল রবিবার দেশের কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, বিদ্যুৎকেন্দ্রের চাহিদা মেটাতে দেশে পর্যাপ্ত কয়লার মজুত রয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584