পিয়া গুপ্তা, উত্তর দিনাজপুরঃ
‘মীন গন হীন হয়ে ছিল সরোবরে, এখন তারা সুখে জলক্রিয়া করে’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা মনে পড়ে গেল। অবশ্য নদী ও সরোবর ছেড়ে অ্যাকোরিয়ামে মাছেদের সুখে জলক্রীড়া করার দৃশ্য অনায়াসে পাওয়া যাবে রায়গঞ্জ কুলিক ফরেস্টেে। নদী আর খাল বিলের জলে নিশ্চিন্তে ভেসে বেড়ানো রকমারি মাছ এবার ঠাঁই পেয়েছে রায়গঞ্জ কুলিক ফরেস্টের অ্যাকোরিয়ামে।
এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে হরেক রকমের দেশজ মাছের পরিচয় করানোর পাশাপাশি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে বনদফতরের এই উদ্যোগ।
দেশি মাছ বলতে প্রাচীনকাল থেকে যেসব মাছ বাঙ্গালীরা প্রতিদিন খাবারের পাতে দেখতে অভ্যস্ত সেইসব মাছ। যেমন চিতল, পুঁটি, ফোলি, দারকিনি, খোলসা, কচিয়া, সরপুঁটি, পাঙমাছ, মাগুর, সিঙ্গী, সাটি, কাজলি ও তেলাপিয়া। এছাড়া কাঁকড়াও স্থান পেয়েছে অ্যাকোরিয়ামে। উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন নদী থেকে তুলে আনা হয়েছে এইসব কুলিক মাছেদের।
মাছ দেখতে ছুটির দিনগুলোতে কৌতুহলীদের নজরকাড়া ভিড়। বিশেষ করে ক্ষুদে পড়ুয়াদের ভিড় বাড়ছে এই কনকনে শীতেও। বাবা-মায়েদের হাত ধরে কুলিক বনে বেড়াতে এসে ছেলেমেয়েরা ভিড় জমাচ্ছে দেশি মাছ দেখতে। আর চিনতেও কোন সমস্যা নেই, প্রতিটি অ্যাকোরিয়ামের সামনে বিভিন্ন দেশি মাছের নাম ছাপা অক্ষরে লেখা রয়েছে।
কুলিকের বিট অফিসার বরুন সাহা জানান, বিভিন্ন নদী থেকে জাল দিয়ে মাছ ধরে আনা হয়েছে অ্যাকোরিয়ামে। জল যাতে কোন ভাবেই দূষিত না হয় সেই কারণে নিয়মিত অ্যাকুরিয়াম পরিষ্কার করা হয়।
রায়গঞ্জের বিভাগীয় বন আধিকারিক সোমনাথ সরকার বলেন, ‘আসলে এই প্রজন্মের অনেক ছেলেমেয়ে দেশি মাছ এদের সম্বন্ধে বিশেষ কিছু জানেনা এমন কী অনেক দেশি মাছের নামও জানে না, তাই যাতে একালের স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন ধরনের দেশি মাছ চেনাতে জানাতে এই বিশেষ উদ্যোগ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584