জমায়েত রুখতে কলকাতার রাস্তায় ‘কমব্যাট ফোর্স’

0
66

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার বেড়েই চলেছে। তা সত্ত্বেও বেশ কিছু জায়গায় সিল করেও মানুষের জমায়েত রোখা যাচ্ছে না। এমনই বেশ কয়েকটি জায়গাকে রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত করে শুক্রবারই সশস্ত্র পুলিশ নামানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর ২৪ ঘন্টার মধ্যে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অবাধ্য শহরবাসীকে ঘরে ঢোকাতে টহল শুরু করল কলকাতা পুলিশের কমব্যাট ফোর্স।

Combat force | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

লকডাউনের প্রথম দিকে ভিড় দেখলেই লাঠিচার্জের পথ নিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু তার জেরে পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে। ১২ জন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়। তারপরেই কিছুটা নরমপন্থা নিতে দেখা যায় পুলিশকে। কিন্তু তার জেরে কমার বদলে উলটে বেড়ে গিয়েছে করোনা সংক্রমণ। তাই এবার শহরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামানো হল ‘কমব্যাট ফোর্স।’ আর রাস্তায় নেমেই ফের রণংদেহী মূর্তিতে ফিরল পুলিশ।

Combat force | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

প্রশাসন সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিশের আওতায় থাকা শহরের ন’টি ডিভিশনেই মোতায়েন করা হচ্ছে ‘কমব্যাট ফোর্স’ বা বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুলিশ কম্যান্ডোদের।

আরও পড়ুনঃ করোনা রুখতে সিল করা হল পূর্ব কলকাতার একাধিক হটস্পট এলাকা

combat force | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

স্থানীয় থানা ও প্রশাসনের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে কাজ করবে এই বাহিনী। জানা গিয়েছে, প্রত্যেকটি ডিভিশনে ডিসি’র নেতৃত্বে থাকছে ৬ থেকে ৮ জন করে সশস্ত্র জওয়ান। এরা সকলে যে কোনও বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার-ইন-চার্জ এবং ডিভিশনাল ডেপুটি কমিশনারকে রিপোর্ট করবেন।

combat force | ndewsfront.co
নিজস্ব চিত্র

ফাইবারের লাঠি-ঢাল, সেমি-অটোম্যাটিক রাইফেল থাকবে এদের সঙ্গে, পরনে জলপাই রংয়ের পোশাক। কোথাও পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলার কোনও ঘটনা ঘটলে বা সম্ভাবনা দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনবে ‘কমব্যাট ফোর্স।’ প্রয়োজনে নিয়ম ভঙ্গকারীদের গ্রেফতারও করা হতে পারে। এ দিন ড্রোন উড়িয়ে বিভিন্ন এলাকার পরিস্থিতি আগেই দেখে নেয় পুলিশ। তারপর সংশ্লিষ্ট জায়গায় পাঠানো হয় কমব্যাট ফোর্সকে।

একই সঙ্গে শহরের সমস্ত বাজারেও কড়া নজরদারি শুরু করেছেন পুলিশকর্তারা। ভবানীপুরে যদুবাবুর বাজার, শ্রীমানী মার্কেট, কোলে মার্কেট শহরের সমস্ত বড় বড় বাজারগুলিতে এদিন সকাল থেকেই হ্যান্ড মাইকের সাহায্যে বাজারে ঢোকা এবং বেরোনো মানুষদের সতর্ক করা শুরু করেছেন পুলিশ অফিসাররা।

বাজারের বিভিন্ন দোকানের আশেপাশে দড়ি দিয়ে চ্যানেল করে দেওয়া হয়েছে। কোনও জায়গায় কেউ দাঁড়িয়ে যাতে জমায়েত না করেন, তার জন্য বাজারের মধ্যে ঘুরে ঘুরেই নজরদারি চালাচ্ছেন পুলিশ অফিসাররা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাজার খুলতে এবং বন্ধ করতে বিশেষ ভাবে জোর দেওয়া হচ্ছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here