নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
করোনা মহামারীর কবলে গোটা দেশ। যতদিন যাচ্ছে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মৃতের সংখ্যাটাও কোনো অংশে কম নয়। এহেন পরিস্থিতিতে কেরলের কিছু এলাকায় যে ইতিমধ্যেই গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে, গত কালই তা জানিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। আজ, রবিবার সেই একই দাবি তুলল দেশে চিকিৎসকদের সবচেয়ে বড় চিকিৎসক সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনও (আইএমএ)।
শনিবারই ১০ লক্ষের গণ্ডি ছাড়িয়েছিল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সূত্রের খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশ জুড়ে নতুন করে ৩৪ হাজার ৮৮৪ জনের আক্রান্ত হয়েছেন। এদিন স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানাল, দেশে এখন দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ৩.৪৯ শতাংশ। এপ্রিলের শুরুতে যা ছিল ৩১.২৮ শতাংশ। মন্ত্রকের দাবি, আক্রান্তের সঙ্গে সমান তালে বাড়ছে সুস্থতার হারও। জুনের মাঝামাঝিতে সুস্থতার হার ছিল ৫২ শতাংশ, এখন সেটা হয়েছে প্রায় ৬৩ শতাংশ। তা সত্ত্বেও ফি-দিন দেশে ত্রিশ হাজারেরও বেশি লোক সংক্রমিত হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ বানভাসী কাজিরাঙা, একশৃঙ্গ গণ্ডার-সহ প্রায় ৯৬টি বন্যপ্রাণীর মৃত্যু
এটা যথেষ্ট খারাপ সঙ্কেত বলে রবিবার মন্তব্য করেন আইএমএ-র চেয়ারপার্সন ভি কে মোঙ্গা। তাঁর কথায়, ‘‘সংক্রমণের পিছনে একাধিক কারণ থাকলেও, একটি বিষয় স্পষ্ট যে, গ্রামীণ এলাকাতেও করোনা সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে। এটাই প্রমাণ করে গোষ্ঠী সংক্রমণের।’’ মোঙ্গার ওই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ কারণ, গোষ্ঠী সংক্রমণ স্বীকার করতে রাজি নয় নরেন্দ্র মোদী সরকার।
আরও পড়ুনঃ আবার একদিনে করোনার সর্বোচ্চ থাবা
কেরলে ফের সংক্রমণের খবর মিলছে। যদিও বিজয়নের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই। তাই রাজ্যে ফের সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণার প্রয়োজন নেই। গোয়া আংশিক লকডাউনের পথেই হাঁটছে। ১০ অগস্ট পর্যন্ত রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ‘জনতা কার্ফু’ ডেকেছে প্রশাসন। শুক্র-শনি-রবি সম্পূর্ণ লকডাউন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584