শ্যামল রায়, নদীয়া:-
নদীয়ার গাংনাপুরে রাতের দিকে শৌচাগারে যাওয়ার সময় গলায় ভোজালি ঠেকিয়ে এক বধূকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে যে অভিযুক্তের নাম বাপি মোল্লা,বাড়ি গাংনাপুরে । চাকরি করেন দমদম জিআরপপিতে।
নির্যাতিত বধু গাংনাপুরে ধর্ষণের অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ নেয়নি বলে অভিযোগ।
আরও জানা গিয়েছে যে ওই নির্যাতিত বধু অভিযোগ করেছেন যে তাঁকে গলায় ভোজালি দেখিয়ে একটা পরিত্যক্ত বাগানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে ঐ পুলিশ কর্মী। তারপর গাংনাপুর থেকে ট্রেনে কল্যাণীতে নিয়ে যায় । কল্যাণীতে বসিয়ে রেখে চম্পট দেয় ওই পুলিশ কর্মী।
তারপর ওই নির্যাতিত মহিলা বাড়িতে এসে তার পরিবার এবং স্বামীকে ঘটনাটি জানায়।
অভিযোগ যে গাংনাপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে গেলে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে পুলিশ।
তারপর ওই নির্যাতিত মহিলা রানাঘাট থানায় ওই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা গিয়েছে যে বাপি মোল্লা সহ মোট ছয় জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে।
আরো অভিযোগ যে গাংনাপুর থানার পুলিশ ওই নির্যাতিত বধুর বাড়িতে গিয়ে তার স্বামীকে চড়-থাপ্পড় এবং পরিবারকে ভয় দেখাচ্ছে ।
এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সোমবার গাংনাপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে যে অভিযুক্তরা পলাতক। আদালতের নির্দেশ পেয়ে আমরা অভিযুক্তকে ধরার চেষ্টা করছি। কিন্তু পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে তারা নির্যাতিত বধুর মামলা নিতে অস্বীকার করেনি এবং মারধর করার ঘটনাও সত্যি নয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584