সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টা।আক্রান্ত কিশোরীকে মুখ বেঁধে পালিয়েছে অভিযুক্তরা বলে অভিযোগ।এই ঘটনায় দুই ব্যক্তি গ্রেফতার করেছে ঢোলাহাট থানার পুলিশ।ঘটনার অভিঘাতে আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা।পাথরপ্রতিমা ব্লকের দক্ষিণ গঙ্গাধরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালির পাড় এলাকার ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, নবম শ্রেণীর আক্রান্ত ছাত্রী পিতৃ-মাতৃহীন দাদু দিদিমার কাছে থাকে।বালির পাড়ে দোকান দোকান আছে।বাড়ির পাশে সরস্বতী পূজার অনুষ্ঠান চলছিল।বাড়ি থেকে দোকান মাত্র কয়েক’শ মিটার দূরে। রান্না করার জন্য দাদুর কাছ থেকে আলিপুর বাজার করার জন্য গিয়েছিল নাবালিকা। কিন্তু বাড়ি ফেরার পথে চারজন দুষ্কৃতী মুখে রুমাল বেঁধে তাকে ধরে।অন্ধকারময় গ্রাম্য রাস্তা ছিল ফাঁকা।পুজো উপলক্ষে মাইক বাজছিল। সেখান থেকে মাঠের মাঝখানে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।জায়গাটি বালির পাড় থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরেত্বে।
যেখানে টহল দিচ্ছিল ঢোলাহাট থানার সিভিক পুলিশ।দাদু বাড়িতে ফোন করে কোন উত্তর না পাওয়ায় দোকান থেকে নাতনীকে খোঁজার জন্য আসে।দাদু বাড়িতে নাতনীকে দেখতে না পেয়ে সরস্বতী পুজোর ক্লাবে যায়।সেখানে না পেয়ে চতুর্দিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে।এই খবর চাউর হতেই চতুর্দিকে সেই সময়ে ছেলে ধরা এসেছে বলে রটনা শুরু হয়।কয়েক হাজার মানুষ এলাকা থেকে বেরিয়ে পড়ে চতুর্দিকে।দৌড়াদৌড়ি করার সময় দেখা যায় রাস্তার ধারে মুখ হাত-পা বাঁধা আক্রান্ত কিশোরী পড়ে রয়েছে। অচেতন অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে গদামথুরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।এই ঘটনায় গ্রামের মানুষ যেখানে মেয়েটি পড়েছিল তার থেকে মাত্র একশ মিটার দূরে থাকা জেসিবি গাড়ি দুজন চালককে মারধর করে।পুলিশ খবর পেয়ে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার দুই জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
গ্রামবাসীর অভিযোগ জেসিবি ড্রাইভার জড়িত থাকতে পারে।কারণ এত চিৎকার চেঁচামেচিতে তারা গাড়িতে থাকলেও গাড়ির কোন লাইট জ্বালািচ্ছলনা।তাদের কোনো সহযোগিতা করেনি বলে দাবি।তাদের থেকে মাত্র একশফুট ধরে এমন ঘটনায় সন্দেহ হয়।
আরও পড়ুনঃ পাড়ার ক্লাবে জুয়ার প্রতিবাদ করায় জুটল বেধড়ক মার
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।যদিও মেয়েটির অভিযোগ অন্ধকারে বেশ কয়েকজনকে দেখে সে হতভম্ব হয়ে যায়।ধর্ষন করার চেষ্টা করে।আওয়াজ পেয়ে পালিয়ে যায় মুখ হাত পা বেঁধে।কারা জরিত তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।জেলার বিভিন্ন জায়গাতে অচেনা লোক এসেছে বলে চউর হয়েছে। এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে দক্ষিন সুন্দরবনের মানুষের মধ্যে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584