ট্রেনের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে বচসা হাতাহাতি,আহত ২

0
96

নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুরঃ

Conflict surrounding  Sitting in the train seat
নিজস্ব চিত্র

লোকাল ট্রেনের আসনে বসাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা ও হাতাহাতির ঘটনায় আহত হলেন ট্রেনের ছয় যাত্রী।সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া-হলদিয়া লোকালে। আহতদের মধ্যে গুরুতর জখম দুই যাত্রীকে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন পাঁশকুড়া জিআরপি থানার পুলিশ।ট্রেনের মধ্যে মারামারির ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শেখ মেহাবুব নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।

Conflict surrounding Sitting in the train seat
সুভাষ মাইতি(আক্রান্ত যাত্রী) । নিজস্ব চিত্র

জানা গেছে, হাওড়া থেকে হলদিয়া গামী লোকালে বাগনান স্টেশন থেকে ওঠেন ওই ট্রেনের ডেলি প্যাসেঞ্জার ধুলিয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা সুভাষ মাইতি ও তার সঙ্গী সাথীরা। সে সময় ট্রেনের মধ্যে ভিড় ছিল ব্যাপক।কয়েকটি আসন ফাঁকা দেখেই সুভাষ বাবু ও তার সাথীরা কোনরকমে চাপাচাপি করে আসনে বসে পড়েন। ট্রেন কোলাঘাট স্টেশনে দাঁড়ানো মাত্রই প্রায় পনেরো কুড়ি জনের আরো একটি দল ট্রেনে ওঠে।অভিযোগ কোলাঘাট স্টেশন ছেড়ে ট্রেনটি মেচেদা স্টেশনে আসার পরেই ওই দলের কিছু যুবক আসনে বসে থাকা যাত্রীদের বসার জন্য সরে বসতে বলেন।কিন্তু তা সম্ভব না হওয়ায় আসনে বসা যাত্রীরা আপত্তি জানান।আর তখনই মেজাজ হারান কোলাঘাট স্টেশন থেকে ওঠা ওই যাত্রীদের দল।আসনে বসা যাত্রীদের ওপর লোহার রড লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।আহত হয় ট্রেনের ছয় যাত্রী।গুরুতর আহত হন সুভাষ মাইতি ও শুভ মাইতি নামের দুই যুবক।পরে ট্রেনের অপর যাত্রীরা মারধরের প্রতিবাদ করলে দলটি মেচেদার পরের স্টেশন অর্থাৎ নন্দাইগাজনে নেমে চম্পট দেয়।সবাই পালিয়ে গেলেও দলের এক যুবককে যাত্রীরা ধরে ফেলেন।ট্রেন ছেড়ে পরবর্তী স্টেশন ভোগপুরে এলে টহলরত পুলিশের হাতে অভিযুক্ত শেখ মেহবুব কে তুলে দেন যাত্রীরা।সেই সাথে পুলিশ আহত যাত্রীদের পাঁশকুড়া স্টেশনে এনে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেন।আহত সুভাষ মাইতি জানিয়েছেন, “প্রতিনিয়তই আমরা ট্রেনে যাতায়াত করি। প্রায় দিনই কমবেশি সিটে বসা কে কেন্দ্র করে টুকটাক বচসা চলতেই থাকে।

Conflict surrounding  Sitting in the train seat
নিজস্ব চিত্র

সেই বচসা যে এত বড় আকার ধারণ করবে আমরা ভাবতেই পারিনি।ওদের হাতে লোহার রড ও লাঠি ধারালো অস্ত্র ছিল হয়তো রাজমিস্ত্রির কাজ করে ওরা তা দিয়েই আমাদের মারধর করেছে।সন্ধের ট্রেনেই যাত্রীদের নিরাপত্তার যদি এই হাল হয় তবে রাতের ট্রেনে যাত্রীদের নিরাপত্তা কোথায়? মারধরের কারণে আমার এক সহযাত্রীর মাথা ফেটে গিয়েছে ,আমাকে মেরে কান দিয়ে রক্ত বের করে দিয়েছে।সে সময় ট্রেনে কোন পুলিশের নিরাপত্তায় ছিল না।অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।”

আরও পড়ুনঃ রুগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত শালবনী হাসপাতাল

পাঁশকুড়া জিআরপি থানার ওসি অসীম কুমার পাত্র জানিয়েছেন, চলন্ত ট্রেনে যাত্রীদের মারধরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।আগামীকাল তাকে তমলুক আদালতে তোলা হবে।আহত যাত্রীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে তিনি জানান।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here