শ্যামল রায়, কালনাঃ
ভারতীয় জনতা পার্টির ডাকে বনধ কে কেন্দ্র করে সে রকম ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি কালনা ও কাটোয়া মহকুমায়। তবে বনধ কে কেন্দ্র করে একের পর এক পাল্টা দাবি শাসক দলের মধ্যে ও বনধ সমর্থকদের মধ্যে।
ভারতীয় জনতা পার্টির নেতাদের দাবি এই বনধকে মানুষ মেনে নিয়েছেন এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন শাসকদলের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে তৃণমূল নেতাদের দাবি যে ইস্যুটিকে বাজার মাত করতে চাইছিলো বিজেপি কিন্তু রাজ্যের মানুষ এই বনধকে কোনোভাবেই মেনে নেয়নি এবং সমর্থন জানায়নি।
তবে এদিন সকাল থেকেই কালনা কাটোয়া মহকুমার জনবহুল এলাকায় বাজারে ব্যাপক হারে পুলিশ এবং সিভিক পুলিশ মোতায়েন করা ছিল। ব্যান্ডেল কাটোয়া রেল শাখায় কালনা থেকে কাটোয়া পর্যন্ত প্রতিটি রেলস্টেশনে ছিল ব্যাপক পুলিশি পাহারা ও সিভিক পুলিশ। তবুও বেলা বাড়ার সাথে সাথে এই রেল শাখায় ভান্ডার টিকুরি বাঘনাপাড়া ও কালনাতে বনধ সমর্থনকারীরা রেল অবরোধ করে। তবে রেল অবরোধের ফলে দেড় ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে বহু ট্রেন অনিয়মিতভাবে চলাচল শুরু করে এবং একটি ট্রেন বাতিল করা হয় বলে জানা যায়।
তবে ১১ টা নাগাদ মালদা হাওড়া ইন্টারসিটি ট্রেন চলেছে। ট্রেন অবরোধের ফলে ট্রেন চলাচল অনিয়মিত হয়ে পড়লে যাত্রীসাধারণের অসুবিধা হয় বলে রেল দপ্তর সূত্রে খবর। অনেকেই রেলপথে অফিস আদালতে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বের হলেও ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় অফিস পর্যন্ত যেতে পারেননি । ভারতীয় জনতা পার্টির পূর্বস্থলী এক নম্বর ব্লকের ৩৫ নম্বর মণ্ডল কমিটির সভাপতি বিধান চন্দ্র ঘোষ জানিয়েছেন যে এদিন সফল করতে তাদের দলের কর্মী-সমর্থকরা ভাণ্ডারটিকুরী তে রেল অবরোধ করে তারপর কালনা কাটোয়া রোড এর জাহান নগর মোড়ে অবরোধ হয় । এছাড়াও পোলেরহাট শুনা রুদ্র কোরাপুর বাজারে মিছিল হয়। জানা গিয়েছে যে করাপুর বাজারে শাসক দলের কর্মী-সমর্থকদের সাথে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী সমর্থকদের বচসা বাঁধে এবং হাতাহাতি পর্যন্ত হয় তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে বলে জানা যায়।
এছাড়াও বাঘনাপাড়া ও কালনা রেলস্টেশনে ও ভারতীয় জনতা পার্টি রেল অবরোধ করে। ঘন্টাখানেক অবরোধ শেষে পুলিশের মধ্যস্থতায় অবরোধ তুলে নেয় বন সমর্থককারীরা।
বিজেপি রাজ্য সম্পাদক রাজীব ভৌমিক, সুশান্ত পান্ডে গোপাল চট্টোপাধ্যায় প্রমূখ জানিয়েছেন যে এই বনধকে মানুষ সমর্থন জানিয়েছেন। কারণ ইসলামপুরে পুলিশের তাণ্ডবের বিরুদ্ধে এবং শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে এই বনধ। বিভিন্ন অফিস আদালত খুললেও উপস্থিতির সংখ্যাটা ছিল কম। অন্যদিকে বহু বাস চলাচল করেনি। রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা কম ছিল। স্কুল কলেজ খুললেও উপস্থিতি সংখ্যাটা ছিল কম।এই বনধকে সাধারণ মানুষ সমর্থন করেনি জোর দিয়ে জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের ব্লক কার্যকরী সভাপতি পরিমল দেবনাথ। তিনি বলেন ইতিমধ্যে চারবার বনধ ডাকলো বিজেপি। মানুষ এই বনধকে মেনে নেয়নি এবং সমর্থন জানায়নি। তাই বিজেপির ডাকা বনধ সফল হয়নি। ইস্যু হীন বনধ কে মানুষ মেনে নেয়নি। কালনা ২ নম্বর ব্লক জুড়ে বনধেরে প্রভাব সেরকম পারেনি। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকেও বের হয়েছিল মিছিল হেমাতপুর থেকে উত্তর শ্রীরামপুর মরে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়। এছাড়াও সমুদ্র পার বাজারে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে বন্ধের বিরোধিতা করে একটি মিছিল বের করে বিজেপি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে এই বনধে সাড়া মেলেনি। ঘটেনি কোনোরকম বিশৃঙ্খলা অশান্তির ঘটনা।
আরও পড়ুনঃ চিরাচরিত নিয়মে পূজা হয়ে আসছে শিবাক্ষ্যা মায়ের
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584