খুন হওয়া ব্যবসায়ীর রাজনৈতিক পরিচয় ঘিরে তরজা

0
68

নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

বুধবার সন্ধ্যায় খুন হওয়া ব্যবসায়ীর পরিচয় নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির ডাকা ১২ ঘন্টার বনধের একেবারে শেষ বেলায় খাজরা বাজারের কাছে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন বছর পঞ্চাশের বিভূতিরঞ্জন দাস।

পরিবার সূত্রে খবর, এলাকায় তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত ভূষণ , তাঁর একটি দোকান ভাড়া নিয়ে চালাতেন বিভূতিরঞ্জন দাস। বনধ থাকায় এ দিন সকাল থেকেই দোকান বন্ধ ছিল বিভূতিরঞ্জন বাবুর। বিকেলের পর ওই এলাকায় তাণ্ডব চালাচ্ছিল একদল দুষ্কৃতী। সেই সময় দোকান খুলতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলি লাগে তাঁর গায়ে। লুটিয়ে পড়েন তিনি। বাসিন্দারা প্রথমে তাঁকে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তখনই তাকে রেফার করা হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে। পথেই মৃত্যু হয় ওই ব্যবসায়ীর।

নিহত ব্যবসায়ীর শোকস্তব্ধ পরিজন।

এরপরই তাঁর পরিচয়ে রাজনৈতিক রঙ লাগাতে তৎপর হয়ে ওঠে রাজনৈতিক দলগুলি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি হাসপাতালে এসে দাবি করেন, মৃত বিভূতিরঞ্জন তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। এর পরেই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বৃহস্পতিবারই কেশিয়াড়ি যাবেন সুব্রত বক্সি। ময়নাতদন্তের পর আজ মৃতদেহ নিয়ে মিছিল করে কালা দিবস পালনেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাস এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন। সুপারি কিলার লাগিয়ে বিভূতিরঞ্জনকে খুন করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবারও সকাল থেকেই কেশিয়াড়ির খাজরা বাজার থমথমে। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে ব্যবসায়ীদের। সকালে এলাকা থেকে কার্তুজের খোল উদ্ধার করেছে পুলিশ। দোষীদের চিহ্নিত করতে খতিয়ে দেখা হচ্ছে আশেপাশের সিসিটিভির ফুটেজ। মৃতদেহর দখল নিতেও জোরদার তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

আরও পড়ুনঃ বনধের দিনে এলোপাথাড়ি গুলিতে খুন ব্যবসায়ী

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here