নিজস্ব সংবাদদাতা,বালুরঘাটঃ
আগামী লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট সম্ভাবনায় জল ঢেলে দিয়ে বিজেপির থেকেও বিপদজনক দিদি বললেন প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি এবং বিধায়ক শঙ্কর মালাকার।এমনকি মালদহের কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনেজির নুর-এর তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট প্রসঙ্গকে পরোক্ষে কটাক্ষ করে বলেন মৌসম বেনেজির নুর রাহুল গান্ধী নন, বি.পি. সিং নন এটা তার ব্যক্তিগত মতামত।তিনি আরও বলেন মৌসম নুর-এর কথায় কার সাথে জোট হবে বা হবে না এটা ধরে নেওয়ার কোন কারন নেই।রাহুল গান্ধীর নির্দেশে জাতীয় কংগ্রেসের সম্পাদক বি.পি.সিং-কে সঙ্গে নিয়ে বুধবার বালুরঘাটে জাতীয় কংগ্রেসের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে এই কথা জানান প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি তথা বিধায়ক শঙ্কর মালাকার।এদিন তিনি কংগ্রেসের জনসংযোগ কর্মসূচী উপলক্ষ্যে বালুরঘাটে আসেন।
এদিন তিনি প্রথমে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক করার পাশাপাশি কংগ্রেস কর্মীদের নিয়ে সংগঠিত মিছিলে এবং কংগ্রেস কর্মীদের নিয়ে আয়োজিত একটি কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন।এদিন সাংবাদিক বৈঠেকে কংগ্রেস কর্মীদের চাঙ্গা করে তাদেরকে রাজনৈতিক ময়দানে পুনরায় ফুল ফ্রমে নামানোর উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলার পাশাপাশি একযোগে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপিকে আক্রমণ করে এদিন তিনি বলেন দিদি ভাই এবং মোদী ভাই ভারতবর্ষের রাজনীতিতে একটা নতুন সংস্কৃতির আমদানি করেছে যে সংস্কৃতি ভারতবর্ষের রাজনীতিকে একটা বিপদজনক অবস্থার দিকে ঠেলে দিয়েছে। উত্তরবঙ্গে বিজেপির গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রার কি প্রভাব পড়তে চলেছে এই প্রশ্নের জবাবে এদিন শঙ্কর মালাকার প্রতিবেদককে বলেন উত্তরবঙ্গে বিজেপির এই গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা-য় বিজেপির কোন লাভ হবে না অপরদিকে আবার তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হলে বা না হলেও কংগ্রেস যে খুব বেশী লাভবান হবে না সেই কথা জানিয়ে নাম না করে ২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনের তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট প্রসঙ্গ টেনে সঙ্কর মালাকার বলেন, “আমাদের দুধভাত খেয়ে যারা মোটা হয়েছে, তারা পশ্চিমবঙ্গে আজ লুটের রাজনীতি কায়েম করেছে।” প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতির ন্যায় জাতীয় কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক বি.পি.সিং-ও এদিন বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক দূর্নীতির অভিযোগ এনে তোপ দাগেন। কংগ্রেস কি বিজেপির দূর্নীতির বিষয়গুলিকে খুজতে বিশেষ আগ্রহী ?প্রতিবেদকের এই প্রশ্নের জবাবে এদিন বি.পি.সিং বলেন কংগ্রেস একটা শক্তিশালী নির্বাচনী ইস্তাহার তৈরী করবে এবং দেশকে বিকল্প দেবে। এমনকি দেশের ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে রাহুল গান্ধী-র বিভিন্ন মন্দির দর্শন করার পিছনে কোন নির্বাচনী রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল কিনা প্রতিবেদকের এই প্রশ্নের জবাবে বি.পি সিং এক্ষেত্রে এটিকে কোন রাজনৈতিক প্রতিযোগীতার মানতে নারাজ হয়ে স্পস্ট ভাষায় জানান এটা রাহুল গান্ধীর পরিবারের পরম্পরা।তিনি এও বলেন রাহুল গান্ধী যখনই এলাহাবাদে যেতেন তখনই তিনি(রাহুল গান্ধী) সঙ্গমে স্থান করতেন এবং পূজা করতেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584