নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
কর্নাটকের প্রথম ডিটেনশন সেন্টার খোলার পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। একটি পরিত্যক্ত হোস্টেলকে মেরামত করে ডিটেনশন সেন্টার তৈরির ভাবনা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরু থেকে ৪০ কিমি উত্তর-পশ্চিমের প্রত্যন্ত গ্রাম সন্দেক্প্পা এবং বেঙ্গালুরুর তালুক নেলামঙ্গলা গ্রামের সংযোগস্থলের একটি পরিত্যক্ত আবাসনকেই বানানো হবে ডিটেনশন সেন্টার।
একটি জাতীয় গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, এক যুগেরও বেশি সময় ধরে পড়ে থাকা এই হোস্টেলটি তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতি এবং অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদেরদের জন্য বরাদ্দ ছিল। ১৯৯২ সালে এটি তৈরি হয়। তবে আস্তে আস্তে হোস্টেলে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমতে থাকায় ২০০৮ সালে এটিকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হয়। ২৮ বছরের পুরনো ‘এল’ আকৃতির এই আবাসনটিতে অনুপ্রবেশকারীদের ডিটেনশন সেন্টার তৈরি হওয়ার খবর ছড়াতেই গ্রামবাসীদের মধ্যে অস্বস্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছুদিনের মধ্যেই এই বিল্ডিং-এর উদ্বোধন হবে। কিন্তু সন্দেক্প্পা গ্রামের বাসিন্দারা এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না যে তাদের চোখের সামনে থাকা এই আবাসনটিকে শেষ পর্যন্ত অনুপ্রবেশকারীদের বাসস্থান হিসাবে গণ্য করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা রবি কুমারের কথায়, দীর্ঘদিন ধরে পরে থাকা এই আবাসনটি আমাদের কোনও কাজে লাগবে—এই আশাতেই আমরা ছিলাম। আমরা সরকারের কাছে অনেক আর্জি জানিয়েছিলাম, কিন্তু আমাদের কোনও আবেদনএই কান দেওয়া হয়নি। তাই এই আবাসনকে আপাতত ‘বিদেশি অনুপ্রবেশকারীদের কারাগার’ হিসাবেই দেখছে এলাকাবাসী।
বিল্ডিং-এর দায়িত্বে থাকা ‘সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার’ দফতরের আধিকারিক জানিয়েছেন, একেবারে ৩০ জনের বেশি অনুপ্রবেশকারীকে এই বিল্ডিং-এ রাখা সম্ভব না।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584