সিইএসসি-র ব্যাখ্যায় অসন্তুষ্ট, নোটিশ পাঠাচ্ছে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর

0
62

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

লকডাউনের সময়ে মাত্রাতিরিক্ত বিল পাঠানো নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সিইএসসি-র বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সেলিব্রিটি, মন্ত্রী থেকে সাধারণ মানুষ। খোদ বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়েরও সাধারণ বিলের থেকে ৪ গুণ বেশি বিল এসেছে। এই অতিরিক্ত বিল এর কারণ জানতে চেয়েছে শনিবার রাজ্যের সমস্ত সংবাদপত্রে সিইএসসি কে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী।

CESC | newsfront.co
ফাইল চিত্র

সেই মতো তাঁরা তাদের বক্তব্য পেশ করলেও তাতে সন্তুষ্ট নয় রাজ্য। নবান্নের তরফে অ্যাডভাইজারি পাঠানোর পাশাপাশি ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের তরফ থেকে সোমবার তাদের নোটিশ পাঠানো হবে বলেও জানানো হয়েছে।ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ মন্ত্রী জানিয়েছেন, গ্রাহকদের সমস্যা হবে এমন কাজ কিছুতেই বেসরকারি ওই বিদ্যুৎ সংস্থাকে করতে দেওয়া হবে না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এবার ওই সংস্থার বিরুদ্ধে সরব হলেন ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডেও।

তিনি বলেন, “লকডাউনের ফলে ঠিকমতো মিটার রিডিং নেওয়া হয়নি। তা সত্ত্বেও অতিরিক্ত বিলের বোঝা সাধারণ মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্য বছর এই সময়ে যা বিল আসে, তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি বিল পাঠানো হচ্ছে প্রত্যেককেই। যদিও এই অতিরিক্ত বিল কেন, তার কোনও ব্যাখ্যা মিলছে না।’

আরও পড়ুনঃ সিইএসসি বিলে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, শনিবার সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপনে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ বিদ্যুৎমন্ত্রীর

মন্ত্রীর দাবি, লকডাউনে বহু মানুষের উপার্জন কমেছে। তার মধ্যে এভাবে বিল পাঠানো উচিত নয়। তাই আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার বেসরকারি ওই বিদ্যুৎ সংস্থাকে নোটিস পাঠাবে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর। এছাড়া রাজ্যের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সংগঠন অ্যাবেকাও সোমবার সদর দফতর ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে বিক্ষোভ দেখাবে বলে সূত্রের খবর।

প্রসঙ্গত, আমফানের পরবর্তী সময়ে শহরাঞ্চলের বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করতে বহুদিন লেগে গিয়েছিল সিইএসসি। ফলে এমনিতেই বিদ্যুৎহীন ছিলেন শহরের বহু মানুষ। তার ওপর এই মাত্রাতিরিক্ত বিলের চাপে আবারও ক্ষোভ সঞ্চার হয়েছে জনমানসে।

আরও পড়ুনঃ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধানের স্ত্রী, সংক্রামিত তিনিও

যদিও সিইএসসি-র দাবি, করোনা সংক্রমণের জেরে মার্চ থেকে লকডাউন জারি থাকার ফলে বেশ কয়েকমাস মিটার রিডিং নেওয়া বন্ধ ছিল। স্বাভাবিকভাবেই এপ্রিল ও মে মাসে অনুমানের ভিত্তিতে বাৎসরিক গড়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারের নিরিখে বিল পাঠানো হয়েছে। জুন থেকে ফের মিটার রিডিং শুরু হলে পুরনো সেই বাড়তি ইউনিট বিলে যুক্ত হয়েছে।

গ্রীষ্মকালের জন্যই অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচ হয়েছে, যা তুলনামূলক বেশি। যদিও এত বছর ধরে গ্রীষ্মকালে একাধিক বৈদ্যুতিন সামগ্রী ব্যবহার করেও আসেনি বলে দাবি গ্রাহকদের। তবে সিইএসসি-রাজ্যবাসীদের সংঘাতে যে সাধারণ মানুষের পাশেই রয়েছে রাজ্য, বিদ্যুৎমন্ত্রীর পর ক্রেতা সুরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে তা স্পষ্ট বলে দাবি শাসকদল তৃণমূলের।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here