গতকাল হুগলি জেলার পুরশুরা ব্লকের বিদ্যাসাগর মাঠে হুগলী জেলা তৃনেমূল যুব কংগ্রেসের উদ্দোগে একুশে জুলাই শহীদ দিবসের সমর্থনে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হল । প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তৃনমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় , মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত , মন্ত্রী ও গায়ক ইন্দ্রনীল সেন , মন্ত্রী অসীমা মাঝি , সাংসদ রত্না দে নাগ , সাংসদ অপরূপা পোদ্দার , হুগলী জেলা পরিষদের সভাধীপতি হাজী মেহেবুব রহমান , সবং এর বিধায়ক মানস ভূঁইয়া , হুগলী জেলার তৃনমূলের সমস্ত বিধায়ক সহ হুগলী জেলার সমস্ত নেতা , কর্মী ও সমর্থকবৃন্দ ।
এই দিনের জনসভা থেকে কড়া ভাষায় বিরোধীদের আক্রমণ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ” একসময় মুখে গামছা বেঁধে ছদ্মবেশে বাংলার মানুষের ক্ষতি করেছে সিপিআই(এম)। যারা লাল পাঞ্জাবি পরত, এখন তারাই গেরুয়া পাঞ্জাবি পরছে। আগে ছিল ছদ্মবেশী এখন হয়েছে পদ্মবেশী। বাসে যেমন বড় বড় করে লেখা থাকে পকেট মার হইতে সাবধান। ঠিক সেই রকম আপনারা পাড়ায় পাড়ায় বাড়ির দেওয়ালে লিখে রাখুন এই ছদ্মবেশী ও পদ্মবেশী হইতে সাবধান। এরা কেউটে সাপের মতো। সুযোগ পেলেই আপনার ক্ষতি করবে। বাংলায় এদের জায়গা দেবেন না।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাতে সাম্প্রদায়িক লড়াই লাগাবার চেষ্টা যতবার করা হয়েছে, ততবারই তা অসফল হয়েছে। বাংলায় যুদ্ধ হলে তা দুই ধর্মের মানুষের মধ্যে হবে না। দশ কোটি বঙ্গবাসীর সঙ্গে মুখোশধারী বিজেপি নেতাদের যুদ্ধ হবে।”
তৃণমূলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে যারা দল করছেন তাদের সম্মান জানিয়ে তিনি হুগলী জেলার তৃণমূল নেতৃত্বকে অনুরোধ করেন, ” একুশে জুলাই এর পর প্রতি অঞ্চলে – অঞ্চলে বুথে – বুথে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে যারা দল করছেন সেই সব প্রবীণ নেতা – সমর্থকদের সংবর্ধনা দেবেন ।” তিনি আরোও বলেন , ” তৃণমূল কংগ্রেস দলে দু নম্বর তিন নম্বর বলে কেউ নাই । এই দলের এক নম্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তার পরই হল দলের নিচু তলার কর্মী – সমর্থকরা । কর্মী – সমর্থকরা না থাকলে আজ কেউ সাংসদ , বিধায়ক , মেয়র ইত্যাদি হতে পারতেন না ।”
পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়েও আজ মন্তব্য করেন অভিষেক। তাঁর কথায়, “যারা দার্জিলিঙে দু’টো বন্ধ ডেকে, একটা মিছিল করে ভাবছে দার্জিলিং-কে আলাদা করে দেবে, তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। তৃণমূল বিশুদ্ধ লোহার মতো। যত তাতাবেন, আঘাত করবেন, ততই শক্ত হবে।”
রাজ্যের বাইরে থেকে নেতাদের উড়িয়ে আনা ও কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদ করেন তিনি। এবিষয়ে বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার আর্থিক প্যাকেজের কথা বলেছিল। সেই সব কোথায় গেল ? নেতারা বাইরে থেকে সকালে আসছে আর বিকেলে ফিরে যাচ্ছে। বাংলাও পড়তে জানে না। ওদিকে মমতা ব্যানার্জি হতে চাইছে। ওদের সকালে কলা পাতার সাথে দোস্তি, রাতে জমকালো ফাইভ স্টার হোটেলে মস্তি।”
এই দিন একুশে জুলাই শহীদ দিবসের তাত্পর্য বর্ণনা করেন ঐ ঘটনার অন্যতম পত্যক্ষদর্শী মানস ভূঁইয়া ।
সভামঞ্চ থেকে তৃণমূলের মহাসচিব মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি রাজ্যকে ভাগ করতে চাইছে। তাই আপনাদের সজাগ থাকতে হবে। কিছু মানুষ আমাদের দলের পতাকা নিয়ে অন্য দলকে সাহায্য করছে সেদিকে নজর রাখতে হবে।”
নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584