মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
“কাশ্মীরের চেয়েও ভয়ংকর পরিস্থিতি কোচবিহারের। কাশ্মীর শান্ত হয়ে গেলেও শান্ত হল না এখনও কোচবিহার। এখানে তৃণমূল প্রতি হিংসার আগুন জ্বালিয়েছে। কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র ছিল তৃণমূলের কাছে মর্যাদার লড়াই। এই লড়াইয়ে হেরে গিয়ে হিংসার আগুন জ্বালাচ্ছে তৃণমূল।“ শুক্রবার কোচবিহারে এই অভিযোগ তোলেন ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়।
এইদিন কোচবিহারে গান্ধী সংকল্প যাত্রায় অংশ নেন রাজু বাবু। এদিন তার জেলার শীতলখুচি বিধানসভা এলাকায় সংকল্প যাত্রায় একাধিক কর্মসূচী ছিল। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাথা ভাঙ্গা মহকুমার শীতলখুচি ব্লকের ১৪৪ ধারা জারি করে মহকুমা প্রশাসন। এই ব্লকের রথের ডাঙ্গা এলাকায় বৃহস্পতিবার তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সেখানে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পরে মাথা ভাঙ্গা ১ নং ব্লকের বিভিন্ন স্থানে এই যাত্রা সংগঠিত করে বিজেপি। সেখানে উপস্থিত হয়ে কর্মসূচীতে বিজেপির এই রাজ্য নেতা।
এদিন কোচবিহার শহরে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকের মুখোমুখি হন রাজু বাবু। তিনি বলেন, তৃণমূল এলাকা পুর্নদখলের নামে সন্ত্রাস করছে, বিজেপি কর্মীদের টার্গেট করে। লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর গ্রামীণ স্তরে ক্ষমতা হারাবার আশঙ্কা থেকে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে তাঁরা। তাই গোটা জেলা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে হিংসা। পুলিশ সঠিক কাজ করতে গেলে তাদের ধমক-চমক দিয়ে বিজেপির দালাল বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, তুফানগঞ্জের চিলাখানা বিজেপি তৃণমূলের সংঘর্ষের জেরে দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও কর্মীদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেবার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। পুলিশ বিজেপির হয়ে কাজ করছে বলেই ক্ষিপ্ত হয়ে তুফানগঞ্জ মহকুমার পুলিশ আধিকারিকে নপুংসক ও বিজেপির দালাল বলে গাল-মন্দ করেন কোচবিহারের তৃণমূল তথা রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584