দ্রুত আক্রান্ত, মৃত্যুর নিরিখে এগিয়ে কলকাতা! উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর

0
60

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

এমনিতেই রাজ্যে ফের পর পর তিন দিন ৫০০ ছাড়িয়ে রেকর্ড সংক্রমণে উদ্বেগ বেড়েছে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। এবার সেই উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিল এ রাজ্যে করা আইসিএমআরের সেরোলজিক্যাল রিপোর্ট।

corona affected | newsfront.co
প্রতীকী চিত্র

ওই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, শহরে মাত্র সাড়ে ১৪ শতাংশের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি, দ্রুত আক্রান্ত ও মৃত্যুর নিরিখে এগিয়ে কলকাতা। অর্থাৎ করোনা প্রতিরোধে এ শহরের মানুষের শরীরে সেভাবে রোগ প্রতিরোধ তৈরিই হয়নি। একই সঙ্গে এই রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে, আক্রান্ত ও মৃত্যুর নিরিখে সব জেলা থেকে কলকাতা অনেকটা এগিয়ে।

report | newsfront.co
রিপোর্ট

মাস খানেক আগেই কলকাতা-সহ ৬ জেলার মোট ২,৪০০ লোকের থেকে নমুনা সংগ্রহ করে সেরোলজিকাল সার্ভে করে আইসিএমআর। তার মধ্যে কলকাতারই ২০০০ বাসিন্দা ছিলেন, যারা সাম্প্রতিক অতীতে বাইরে যাননি। শনিবার সেই রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে। সেখানেই জানানো হয়েছে, কলকাতায় ১৪.৩৯ শতাংশ মানুষের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ দেশে বাড়ার সময় থেকেই আইসিএমআর গোটা দেশে বাছাই করা বিভিন্ন জেলাতে ‘সেরো সার্ভিলেন্স’ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

আরও পড়ুনঃ চিন-বিরোধীতায় সংস্থার টি-শার্ট পোড়ালেন জ্যোমাটো কর্মীরা

এ রাজ্যে ছটি জেলাকে তারা নির্বাচিত করেন। আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং কলকাতা। তাঁদের দাবি, উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতা মিলিয়ে কলকাতার মোট ১৭টি ওয়ার্ড থেকে এই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। কলকাতা ছাড়া বাকি পাঁচ জেলা থেকেই ৪০০ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়ায় হার ০.২৫ শতাংশ, দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ২.৫ শতাংশ, পূর্ব মেদিনীপুরে ০.৭৫ শতাংশ ও আলিপুরদুয়ারে ১ শতাংশ।

যদিও বিশেষজ্ঞদের দাবি অন্তত লক্ষাধিক মানুষের ওপর টেস্ট না করলে কিছুতেই ট্রেন্ড বোঝা সম্ভব নয়।

আরও পড়ুনঃ সৎ বাবার বিকৃত যৌন লালসায় অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী

তবে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন এবং নাইসেড একযোগে জানিয়েছে, যখন রক্ত নেওয়া হয়েছিল, তারপর অনেকটা সময় পার হয়েছে।

সেই সময় যাদের উপসর্গ ছিল না বা মৃদু উপসর্গ ছিল, তাঁরা এখন কী অবস্থায় আছেন তাও জানতে হবে। তবে কলকাতায় এখনও গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়নি তাও স্পষ্ট। তবে কলকাতার দক্ষিণে মানুষের কিছু রোগ প্রতিরোধ তৈরি হয়েছে। আপাতত এই পরিসংখ্যান ধরেই নতুন স্বাস্থ্য পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here