নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
মেদিনীপুর শহর থেকে ঠিক ৭ কিলোমিটার দূরে পাঁচকুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ছেড়ুয়া গ্রাম। ছেড়ুয়া বামনডাঙা দুই গ্রামে মোট ১৫০টি পরিবারের বাস। ফিরতি বছর দীপাবলির পনেরো দিন আগে থেকেই গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে চোখে পড়ে চূড়ান্ত ব্যস্ততা। গ্রাম জুড়ে ম ম করে বারুদের গন্ধ।
কমবেশি প্রতিটা বাড়ির চাতালেই মেলা থাকে তুবড়ির খোল, পটকা বানানোর সুতলি, রসবাতির কাগজ কিংবা তারাবাতির বারুদ। প্রতিটা বাড়ির সামনেই ছোট ছোট চালার দোকানে মেলে হরেক রকমের আতশবাজি। দীপাবলির আগের এই পনেরোটা দিন রীতিমতো বাজির মেলা বসে গ্রামজুড়ে। মেদিনীপুর শহর তো বটেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ বাজি কেনার জন্য ভিড় জমায় ছেড়ুয়া বামনডাঙ্গা গ্রামে।
তবে করোনা বদলে দিয়েছে সমস্ত পরিস্থিতি। হাইকোর্টের নির্দেশ হাতে পাওয়ার আগেই বাজি বিক্রিতে ‘না’ শুনিয়েছে গ্রামের মোড়লরা। তাতে খুশি প্রশাসনও।
ইতিমধ্যেই দু’দফায় গ্রামে অভিযান চালিয়েছে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। চেনা ছবি বদলে গিয়েছে দেখে রীতিমতো আপ্লুত পুলিশকর্তারা। তবুও মাইকিংয়ের মাধ্যমে পুলিশের সতর্কবার্তা! বাজি বিক্রির কথা জানলেই পড়তে হবে আইনি গেরোয়, নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা।
আরও পড়ুনঃ জল্পনার মাঝেই মুর্শিদাবাদে স্মরণসভায় এসে অনুগামীদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শুভেন্দুর
তবে গ্রামবাসীদের দাবি, তারা আর বাজি বিক্রি নয়, মন দিয়েছে সরকারের একশো দিনের কাজে। দড়ির দোলনা, শিকে তৈরি করতে দেখা গেল গ্রামের মহিলাদেরও। গ্রামবাসীদের কাছে পুলিশের আবেদন, শুধু দীপাবলি নয় বছরের সববসময়ের জন্য বারুদ বর্জন করুন ছেড়ুয়া। অন্য গ্রামের সাধারণ মানুষের মতো স্বাভাবিক ছেড়ুয়া গ্রামের বাসিন্দা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584