করোনার থাবা চাষেও, পর্যাপ্ত ফুল বিক্রি না হওয়ায় উদ্বিগ্ন চাষিরা

0
49

নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুরঃ

পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে লকডাউনের ফলে বিঘার পর বিঘা নষ্ট হচ্ছে দামি ফুল।এদিকে বাগান জুড়ে সাদা হয়ে ফুটে রয়েছে শীতকালিন ফুল চন্দ্রমল্লিকা। কিন্তু বাগানে ফুল থাকলেও বাজারে বিক্রি নেই।

protection | newsfront.co
রোদ থেকে বাঁচানো চেষ্টা। নিজস্ব চিত্র

এদিকে চারাগাছের পরিচর্যায় চাষিদের খরচের পরিমাণ প্রায় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা। আবার কারও বা লাখ ছুঁইছুঁই। যদিও সব সময় যে প্রাকৃতিক উপায়তেই ফুল চাষ হয় তা কিন্তু না। অনেক সময় বৈদ্যুতিক তাপ দিয়ে চারাগাছ বড়ো করা হয়, তার ফলে বিদ্যুৎএর বিল বাবদ খরচ দিতে হয় চাষিদের। তা হলেও অন্যান্য সময় বছরে বাগান প্রতি দু লক্ষ টাকার ওপর লাভের মুখ দেখতে পেত চাষিরা।

flower | newsfront.co
ফুল ভরা বাগান। নিজস্ব চিত্র

তবে এই সময়ে প্রায় শেষ লগ্নে দাঁড়িয়ে মাঠে মারা গেল চাষ। বিঘার পর বিঘা নষ্ট হচ্ছে ফুল। তবুও নেট ঘিরে রেখে রোদ্দুরের তীব্র তাপের হাত থেকে ফুলসহ চারা গাছকে বাঁচিয়ে রাখার শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অসহায় চাষিরা। তবে শেষ আশাটুকুও ছেড়ে দিয়েছেন তাঁরা। বিক্রি নেই,যে ফুল দিল্লী, হায়দ্রাবাদ, পুনে, রাঁচি, চেন্নাই, মুম্বাই যেত বা এই বাংলা নববর্ষতে কলকাতার মানুষরাও নিতেন নিজেদের প্রতিষ্ঠান সাজাতে।

আরও পড়ুনঃ করোনার আবহে বন্ধ ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’, বছরের প্রথম দিনে ওয়েবসাইটের উদ্বোধন

তবে এ বছর করোনা থাবায় জারি হওয়া লকডাউনে বন্ধ ট্রেন। তাই রপ্তানিও নেই । যদিও আশায় ছিল হয়তো প্রথম দফার লকডাউনের পর জীবন যাত্রা বা যানবাহন স্বাভাবিক হবে, কিন্তু কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের দ্বিতীয় দফার লকডাউনের ঘোষণা হতেই এক প্রকার হতাশায় ভেঙে পড়েছেন চাষিরা।

যার ফলে দেউলিয়া, কোলাঘাট এমনকি হাওড়ার ফুল বাজারও বন্ধ। সে কারণেই বাগানে ঘেরা নেট বাধ্য হয়েই খুলে দিয়েছেন তাঁরা।যার ফলে প্রখর রোদের তাপে বাগানেই শুকোচ্ছে ফুল।যদিও এ বিষয়ে চাষি বলাইচন্দ্র দাস বলেন, চাষই আমাদের জীবন। চাষের ওপর আমাদের সংসার চলে।

কিন্তু এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছি আমরা। এখন এই পরিস্থিতিতে ক্ষতির অনুদান পাবো কি না তা জানি না। তাই কোনও দিক দিশা খুঁজে পাচ্ছি না । অন্যদিকে আরেক চাষি রামপদ দাস বলেন, মল্লিকা চাষের পেছনে সত্তর থেকে আশি হাজার টাকা খরচ করেছি। কিন্তু করোনা ভাইরাসের ফলে এক টাকারও ফুল বিক্রি হয়নি। ফলে মাঠেই নষ্ট হচ্ছে ফুল।

আর এই নষ্টের জন্য আদেও ক্ষতিপূরণ পাবো কি না তাঁর কোনো পথ দেখছি না। রোদের হাত থেকে গাছকে বাঁচাতে কুড়ি হাজার টাকার নেট কিনে ছাউনি দিয়েছিলাম। সেই টাকা এখনও ওঠেনি।এছাড়াও এদিন শাঁকটিকরী, বাজু, নস্করদিঘী সহ বিভিন্ন এলাকায় একই ছবি ধরা পড়েছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here