নিজস্ব সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ
এই মুহূর্তে বিশ্ব জুড়ে একটাই আতঙ্কের নাম ‘করোনা ভাইরাস’। আর সেই আতঙ্ক থেকে সরে নেই দক্ষিণের জেলা বাঁকুড়াও। বিদেশ ফেরৎ হোক বা কর্মসূত্রে পাশের কোন রাজ্যে থাকা মানুষই হোক। এই সময় তারা বাইরে থেকে নিজের বাড়িতে ফিরলেই যেন করোনা আতঙ্ক তাড়া করে চলেছে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেশীদের।
তবে সেই ব্যক্তি যদি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নাও হয়, তবুও সামান্য জ্বর-কাশিতেও তাদের হাসপাতালে যেতে বাধ্য করছেন এলাকার মানুষ। ফলে প্রতিদিনই ভীড় বাড়ছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
আরও পড়ুনঃ ভাইরাস থেকে সমাজকে বাঁচাতে মাস্ক, স্যানিটাইজার তৈরী করে বিলি বিদ্যালয়ে
এই কারনের জেরে গত মঙ্গলবার নেপাল থেকে ফেরা বিষ্ণুপুর এলাকার এক মহিলা বলেন, “করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক কোন নমুনা না পাওয়া গেলেও যেহেতু আমরা নেপাল থেকে দেশে ফিরেছি। তাই পাড়া প্রতিবেশীদের চাপে আমরা হাসপাতালে আসতে বাধ্য হয়েছি”।
প্রথমে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে গেলে সেখানে কোন পরীক্ষা না করেই বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে দাঁড়িয়ে একই কথা বলেন প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের টাটা থেকে ফেরা তালডাংরার সাবড়াকোন এলাকার এক যুবকের দাদা।
তিনি বলেন, “ভাই টাটা থেকে জ্বর, সর্দি নিয়ে ফিরেছিল। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত এক ‘দিদিমনি’ জোর করেই এখানে পাঠালেন”। এই মুহূর্তে করোনা আতঙ্কে রোজ ভিড় বাড়ছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
আরও পড়ুনঃ মাস্ক পড়ে রামনবমীর মিছিল, বার্তা ঘিরে বিতর্ক আসানসোলে
যদিও হাসপাতালের সুপার গৌতম নারায়ণ সরকার বলেন, “জেলার সব কটি হাসপাতালেই আইসোলেশন বেড রয়েছে। তবুও সবাই এখানেই আসছেন। ফলে সাধারণ রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরী হচ্ছে। এই মুহূর্তে করোনা পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ‘কিট’ নেই”। সামান্য সর্দি কাশি নিয়ে হাসপাতালে সবাই এলে সমস্যা তৈরী হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584