শুভব্রত সরকার, মুর্শিদাবাদঃ
বিগত দেড় বছর ধরে করোনা ভেঙে দিয়েছে দেশের অর্থনীতি। কেড়ে নিয়েছে বহু মানুষের রুজি্যরোজকার। বাড়িয়ে তুলেছে বেকারত্ব। এই ভাঙা অর্থনীতি উৎসব প্রিয় বাঙালির উৎসবকে করেছে অনাড়ম্বর।
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন। সামনেই আসতে চলেছে বাঙালির সর্ববৃহৎ উৎসব দুর্গাপুজো। শরতের আকাশে কাশফুলের মেলায় মা দূর্গা বাঙালির মনে নিয়ে আসে অনাবিল আনন্দ। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এক সুতোয় বাধা পড়ে এই মিলন উৎসবে। পুরানে কথিত আছে মা দূর্গা হলেন দেবী পার্বতীর এক উগ্র রূপ। যিনি মানুষকে সব সংকট থেকে মুক্তি দেন। তিনি মহাশক্তির এক রূপ। তার দশভুজা মহিষাসুরমর্দিনী রূপটি সর্বাধিক জনপ্রিয়।
মঙ্গলকাব্যে বলা হয়েছে শিবজায়া হিমালয়দুহিতা পার্বতীর সপরিবারে পিতৃগৃহে অবস্থানের আনন্দময় দিনগুলি দুর্গাপূজা হিসাবে পালিত হয়। মার্কেন্ডীও চন্ডি অনুযায়ে দুর্গাপুজো প্রথম প্রচলন করেছিলেন বসন্তকালে রাজা সুরথ ও বৈশ্য সমাধি। যারা এই চিন্ময়ী মায়ের মৃন্ময়ী রূপ দেন করোনাকালে কেমন আছেন সেই সব প্রতিমাশিল্পীরা? নিউজ ফ্রন্ট পৌঁছে গিয়েছিলো একদল প্রতিমাশিল্পীদের কাছে।
মুর্শিদাবাদের কাশিমবাজারের প্রতিমাশিল্পীরা নিউজ ফ্রন্টকে জানান, করোনা রাশ টেনেছে মানুষের উৎসবে। বিগত বছর গুলিতে তারা যেভাবে মূর্তির বায়না পেতেন বর্তমানে সেটা হয়েছে একদম নগন্য। বায়না পেলেও কমেছে মূর্তি তৈরির বাজেট। পাশাপাশি প্রতিমা তৈরির সরঞ্জামের দাম হয়েছে আকাশ ছোয়া। তাদের জীবন জীবিকা রক্ষা করা হয়েছে বড় দায়।
আরও পড়ুনঃ বিশ্ব আদিবাসী দিবসের সূচনা করে ঝাড়গ্রামে নৃত্যের ছন্দে মাতলেন মুখ্যমন্ত্রী
তারা তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আবেদন করেছেন। কেউ আবার আবেদন রেখেছেন করোনা বিধি মেনে পুজো ফিরুক আগের জায়গায়। তাদের প্রার্থনা মা দুর্গার আশীর্বাদে করোনা মুক্ত হোক বিশ্ব l জীবন জীবিকা রক্ষা পাক প্রতিমাশিল্পীদের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584