শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
ইতিমধ্যেই রাজ্যে ২৬৭৭ জন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। গড়ে ১০০ জন করে প্রত্যেক দিনই নতুন করে আক্রান্তের খোঁজ মিলছে। দু’তিনটি জেলা আগে থেকেই বিপদসীমার ওপরে থাকলেও হুগলি, মালদার মত কিছু জেলায় আচমকাই সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে। তাই বাংলায় করোনা সংক্রমণের ট্রেন্ড বুঝতে এবার সোমবার থেকে ২৩ জেলায় ‘সেন্টিনেল সার্ভে’ শুরু করতে চলেছে স্বাস্থ্য দফতর। এই নিয়ে জারি হয়েছে নির্দেশিকাও।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, শুধু করোনা রোগীকে চিহ্নিতকরণ এবং চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়াই নয়, কোন জেলায় কি হারে সংক্রমণ বাড়ছে সেই পরিস্থিতি একবার দেখে নেওয়া দরকার। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সংক্রমণের গতিরোধ করা যেতে পারে। আর যেহেতু হাসপাতালেই সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী ভর্তি আছেন, তাই তাদের উপর ভিত্তি করেই এই সমীক্ষা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কলকাতা বিমানবন্দরে সংস্পর্শহীন চলাচলের ব্যবস্থা
সার্ভের প্রথম পর্যায়ের জন্য ইতিমধ্যেই প্রত্যেক জেলা থেকে ১০০ জন কম ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি এবং ১০০ জন বেশি ঝুঁকিপূর্ণ লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। তার পরীক্ষা করে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্যের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির আভাস পাবেন রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তারা।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের সমস্ত জেলার বিভিন্ন প্রান্তের হাসপাতাল থেকে কম ঝুঁকিপূর্ণ এবং বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করবে প্রত্যেক জেলার জন্য বরাদ্দ ৫ সদস্যের একটি বিশেষ দল। বিভিন্ন হাসপাতালের বহির্বিভাগে আসা অথবা ইন্ডোরে ভর্তি রোগী থেকে প্রসূতি, এমনকি যাঁদের শ্বাস কষ্ট, ফুসফুসে সংক্রমণ বা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো উপসর্গ নেই, এঁরা সবাই কম ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হবেন।
অন্যদিকে, হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স থেকে স্বাস্থ্য কর্মী-সহ যাঁরা প্রতিদিন নানা ভাবে সম্ভাব্য করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা করছেন, তাঁরা সবাই বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হবেন। এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, ‘আমরা গ্রিন, রেড, অরেঞ্জ — সব জোনেরই হাই এবং লো রিস্কের নমুনা সংগ্রহ করে সেই রিপোর্ট বিশ্লেষণ করব। প্রতি ১৫ দিন অন্তর এই নমুনা বিশ্লেষণ করে দেখা হবে, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে। সেই অনুযায়ী জনস্বাস্থ্য কর্মসূচি চূড়ান্ত করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণে সুবিধা হবে।’
কিন্তু এলাকায় গিয়ে এই সমীক্ষা করা হচ্ছে না কেন? ওই স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, এলাকায় করোনা রোগী চিহ্নিত না হলে পরিস্থিতি বোঝা সম্ভব নয়। সেই কাজ করছেন অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা। এই সমীক্ষায় সংক্রমণের গতি অনুধাবন করতে রাজ্যের হাসপাতালগুলিকেই বেছে নেওয়া হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584