নিজস্ব সংবাদদাতা, শিলিগুড়িঃ
চিনের পর নেপালেও মিলেছে করোনা ভাইরাসের জীবাণু। ভারত-নেপাল সীমান্তের পানিট্যাঙ্কিতে লাল সতর্কবার্তা জারি। সচেতনতা বাড়াতে বাংলা হিন্দি ও নেপালি ভাষায় মাইকিং করা হচ্ছে। নেপাল থেকে যে সব পর্যটক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকছেন। তাঁদের উপর বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। রবিবার থেকে ভারত নেপাল সীমান্ত পানিট্যাঙ্কিতে ক্যাম্প বসিয়ে কাঠমান্ডু থেকে শিলিগুড়ির দূরত্ব পাঁচশো কিলোমিটারেরও কম। তাই ঝুঁকি নিতে নারাজ প্রশাসন।
ভারত-নেপাল সীমান্তের পানিট্যাঙ্কি-সহ তিনটি জায়গার চেকপোস্টে ক্যাম্প খোলা হয়েছে। এর মধ্যে পানিট্যাঙ্কি, পশুপতিনগর ও মিরিকের সীমানায় চেকপোস্টে ক্যাম্প খোলা হয়েছে। প্রত্যেক ক্যাম্পে রয়েছে ৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী। জ্বর, শ্বাসকষ্ট, মাথা ব্যাথা, সর্দি-কাশি ইত্যাদি লক্ষণ দেখা গেলেই তাকে রেফার করা হচ্ছে হাসপাতালে। ইতিমধ্যে ভারত নেপাল সীমান্ত সংলগ্ন মহকুমার প্রতিটি গ্রামীণ হাসপাতালকে সর্তক করা হয়েছে। এই ক্যাম্প গুলিতে নেপাল থেকে আসা পর্যটকদের স্ক্রিনিং করার পর করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের লক্ষণ ধরা পড়লে। সংক্রমণকারিকে প্রথমে নিকটবর্তী গ্রামীণ হাসপাতালে যাচাইয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে তাকে রেফার করা হবে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ।
ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে খোলা হয়েছে আইবি বিয়ারিং প্রযুক্তি যুক্ত ৬ বেড বিশিষ্ট আইসোলেশন ওয়ার্ড। করোনার উপসর্গ ধরা পড়লে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করে রয়েছে চিকিৎসার ব্যবস্থা। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর খোঁজ মেলেনি। যদিও এই বিষয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর কোনও রকমের ঝুঁকি নিতে নারাজ। এই বিষয়ে দার্জিলিং জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ প্রলয় আচার্য বলেন করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করার জন্য স্বাস্থ্য দফতর তদারকি করছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী করোনা ভাইরাস জুনোটিক। এই ভাইরাস পশুর দেহ থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। তবে সম্প্রতি এই ভাইরাস সিফুড খাওয়ার ফলেই ছড়িয়ে পড়ে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন আক্রান্ত মানুষের শরীর থেকেও অন্য মানুষের শরীরে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির সংস্পর্শে এলে বা তার সঙ্গে হাত মেলালেও করোনা ভাইরাস শরীরে বাসা বাঁধতে পারে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584