করোনায় আক্রান্ত তিন, সবুজ মুকুট হাতছাড়া ঝাড়গ্রামের

0
139

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রামঃ

গতকাল পর্যন্ত গ্রিন জোনে থেকে রাজ্যের আরও ৫ টি  জেলার সাথেই সবুজ মুকুটের অধিকারি ছিল ঝাড়গ্রাম জেলা। কিন্তু মাত্র ২৪ ঘন্টায় জেলার তিন জনের করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে বলে রবিবার জানিয়ে দিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।

coronavirus affected three people in jhargram | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর থেকে প্রকাশিত বুলেটিনে তিনজন করোনা পজেটিভের কথা উল্লেখ রয়েছে। ১০ মে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিনের ১৪ নম্বর সিরিয়ালে ঝাড়গ্রাম জেলার তিনজনের শরীরে করোনার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলায় এই প্রথম সরকারি ভাবে করোনা পজেটিভের কথা ঘোষণা করা হল।

coronavirus affected three people in jhargram | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

এবার ঝাড়গ্রাম জেলায় তিন বছরের এক শিশু সহ তিনজনের করোনা ধরা পড়ল। তাদের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এর মধ্যে একজন শহরের জুবলি মার্কেটের একটি মুদির দোকানের কর্মী। ঘটনার জেরে গোটা শহরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

আক্রান্ত তিনজনেরই কোনও উপসর্গ ছিল না। শহরের জুবলি মার্কেট বন্ধ করে দেন পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা। বাঁশ দিয়ে মার্কেটের বিভিন্ন রাস্তা আটকে চলে স্যানিটাইজেশনের কাজ।পুলিশ বাঁশ দিয়ে জুবলি মার্কেটের বিভিন্ন রাস্তা আটকে দেয়। দোকান মালিকের পরিবার সহ বাজারের ২০জনকে হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহের জন্য পাঠানো হয়।

coronavirus affected three people in jhargram | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

জানা গিয়েছে, তিন বছরের আক্রান্ত শিশুকন্যার বাড়ি জামবনী ব্লকের খাটখুরা গ্রামে। লকডাউনের আগে ওই শিশু ও তাঁর মা খড়্গপুর মহকুমার আম্বাশোলে মামার বাড়িতে ছিল।

আরও পড়ুনঃ প্রতি বাড়িতে চলছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, বহিরাগত এলে লাগানো হচ্ছে পোষ্টার

গত ৭মে ওই শিশুর বাবা বাইকে করে আম্বাশোল গ্রাম থেকে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আসেন। সেখানে নমুনা সংগ্রহ করার পর তারা খাটখুরা গ্রামের বাড়িতে ফেরেন। শনিবার শিশুকন্যার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

বাকি দু’জনের মধ্যে আক্রান্ত এক যুবকের বাড়ি বিনপুর-১ ব্লকের জয়নগর গ্রামে। তার বয়স ১৮ বছর। জানা গিয়েছে, ওই যুবক লকডাউনের কিছুদিন আগে তার দাদার কাছে ওড়িশার সম্বলপুরে গিয়েছিলেন। তার দাদা সেখানে সোনার কাজ করতেন।

লকডাউনের জেরে তারা আর বাড়ি ফিরতে পারেননি। পরে টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। আক্রান্ত ওই যুবক ও তার দাদা সহ মোট ছ’জন সম্বলপুর থেকে ১মে রওনা দেন। হেঁটে ও লরিতে চেপে গত ৩মে তারা ঝাড়গ্রামের ওড়িশা সীমান্তে এসে পোঁছান।

ছ’জনের মধ্যে ঘাটালের তিনজন ছিলেন। জয়নগর গ্রামের তিনজন জঙ্গলের ভিতর দিয়ে হেঁটে চিচিড়া, গিধনি, দহিজুড়ি হয়ে ৭মে গ্রামে পৌঁছান। ওই দিনই তিনজনের ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here