শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
রাজ্যের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এই মুহূর্তে ৭। তার মধ্যে সোমবার দুপুরে মৃত্যু হয়েছে একজনের। ফলে গোটা রাজ্যে এখন চূড়ান্ত আতঙ্কের পরিস্থিতি। ফলে বিদেশযাত্রা তো বটেই এমনকি বিদেশ যাত্রীর প্রতিবেশীরা এবং সদ্য করা পজিটিভ নির্ধারিত হওয়া রোগীদের প্রতিবেশীরা ভিড় জমাচ্ছেন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। প্রত্যেকদিন এই ভিড় উপচে পড়ার ফলে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত করোনা আতঙ্ক সামনে আসার পরে প্রথমে বেলেঘাটা আইডিতে ভিড় হচ্ছিল, বিদেশিদের এবং কিছু স্থানীয় বাসিন্দাদের নো করোনা সার্টিফিকেট জোগাড়ের জন্য। কিন্তু কিছুদিন পরে ওই সার্টিফিকেট দেওয়া বন্ধ করে দেয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল। আর এর মধ্যেই নবান্নের এক আমলা পুত্রের আক্রান্ত হওয়ার মাধ্যমে এই রাজ্যে চলে আসে মারণ করোনাভাইরাস।
প্রথম এবং দ্বিতীয় আক্রান্ত ছিলেন যথাক্রমে গড়িয়া এবং বালিগঞ্জের বাসিন্দা। এরা দুজনেই লন্ডন থেকে ফিরে ছিলেন। প্রথম জনের পরিবার আক্রান্ত না হলেও দ্বিতীয় জনের মা-বাবা এবং পরিচারিকা এই করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হন। এছাড়াও হাবরার বাসিন্দা স্কটল্যান্ড ফেরত এক তরুণী এবং দমদমের বাসিন্দা এক প্রৌঢ় ও আক্রান্ত হন। সোমবার মৃত্যু হয় দমদমের বাসিন্দা ওই প্রৌঢ়ের।
আরও পড়ুনঃ থার্মাল স্ক্রিনিং পরীক্ষার পাশেই টিকিট বাতিলের লাইন
এদিকে যে যে এলাকায় মানুষ করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন সেই এলাকার বাসিন্দারা দলে দলে ভিড় করছেন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে শুধু তাই নয় যাদের এলাকায় বিদেশ থেকে বা ভিনরাজ্য কেউ ফিরে আসছেন অথবা সর্দি কাশি জ্বরের কারণে কাউকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাদের প্রতিবেশীরাও করোনা আতঙ্কে নিজেদের পরীক্ষা করাতে চলে আসছেন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। ফলে সকাল থেকেই বিপুল লাইন পড়ে যাচ্ছে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের ইমার্জেন্সির সামনে।
অভিযোগ, লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় অনেকেই ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না বেশিরভাগ লোকের মুখে মাস্ক থাকলেও অনেকের মুখে মাস্ক নেই নূন্যতম দূরত্ব বজায় রাখছেন না। বিপুলভাবে কারণেই চিকিৎসকদের কাছে পৌঁছতে চার থেকে পাঁচ ঘন্টা লেগে যাচ্ছে।
বলে রাখা ভালো, হাবরার স্কটল্যান্ড ফেরত তরুণী এভাবেই লাইনে দাঁড়িয়ে ৪-৫ ঘন্টা পরে নিজের পরীক্ষা করিয়ে করোনা পজিটিভ পেয়েছিলেন। তাই এই ভিড়ের মধ্যেও যদি সত্যিই কেউ করোনা পজিটিভ থাকেন তাহলে এই স্বাস্থ্যবিধি না মানার ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। আর এই নিয়ে লাইনে দাঁড়ানো মানুষজনদের মধ্যে অশান্তি হচ্ছে বিস্তর।
যদিও বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের এম এস ভি পি ডাক্তার শ্যামাপ্রসাদ মিত্র বলেন,”আমরা সবসময়ই পরিস্থিতি বুঝে মানুষজনকে শান্ত থেকে লাইনে অপেক্ষা করতে বলছি। কিন্তু এটা সবটাই আতঙ্কের ফল। বিষয়টি যাতে মাত্রা না ছাড়ায় তার জন্য পুলিশের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584