মাদ্রাসার ম‍্যানেজিং কমিটির দূর্নীতি আবার প্রকাশ‍্যে

0
791

নিজস্ব সাংবাদিক, নিউজফ্রন্ট:-মাদ্রাসার ম‍্যানেজিং কমিটি আর দূর্নীতি যেন সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার দূর্নীতিতে নাম জড়াল মুর্শিদাবাদের আব্দুল মান্নান হাই মাদ্রাসার ম‍্যানেজিং কমিটির সম্পাদক জিয়ারুদ্দিন সেখ ও প্রধান শিক্ষক মোঃ সাদিকুল ইসলামের

চলছে বিক্ষোভ

ছাত্র- ছাত্রী ও অভিভাবকদের অভিযোগ ২০১৬-১৭ সালের সরকার প্রদত্ত ছাত্র-ছাত্রীদের পোষাকের চারশত করে টাকা সম্পূর্ণভাবে ঐ দুজনেই ভাগ বাটওয়ারা করে খেয়ে নিয়েছেন। রাজ‍্যের মাদ্রাসাগুলোয় সেই টাকা বছর খানেক আগেই বিলি করা হয়ে গেছে। এমনকি ২০১৭-১৮ সালের টাকাও বিলি করার সময় চলে এসেছে বলে জানা গেছে।

ইতিমধ্যেই এই নিয়ে ছাত্র- ছাত্রীরা প্রধান শিক্ষককে প্রশ্ন করতে গেলে এক ছাত্র দিলুয়ার হোসেনকে প্রধান শিক্ষক এলোপাতাড়ি চড় ঘুসি মারেন বলে অভিযোগ।এতে ছাত্র-ছাত্রীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ভগবানগোলা এস আই অফিসে অভিযোগ জানিয়ে আসে।এমতাবস্থায়, এস আই অফিসের প্রতিনিধি সামসুজ্জোহা  সাহেব মাদ্রাসায় ইনসপেক্সনে আসেন গত ১৩ মার্চ। তিনি সেদিন সরাসরি ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং জানান যে, ৪৭৬ জন ছাত্র -ছাত্রীর মাথাপিছু ৪০০টাকা করে অর্থাৎ প্রায় দু লক্ষ টাকা বছর খানেক আগেই মাদ্রাসার অ্যাকাউন্টে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে অ্যাকাউন্টের অপারেটর মাদ্রাসার সম্পাদক ও প্রধান শিক্ষক।

আজ সেই নিয়ে ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। মাদ্রাসায় ঢুকে অবস্থা বেগতিক দেখে প্রধান শিক্ষক  চম্পট দেন। কিছুক্ষণ পর মাদ্রাসার সম্পাদক মাদ্রাসায় এলে তাকে আটক করে রাখা হয়।
অবশেষে চাপের মুখে তিনি ঐ টাকার কথা স্বীকার করে নেন। তবে ওই টাকা কবে বা কিভাবে ছাত্র ছাত্রীদের দেওয়া হবে তার উত্তর পাওয়া যায়নি।এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষককে ফোন করলেও তিনি ফোন তোলেননি।

তবে বিশিষ্ট মহলে প্রশ্ন উঠছে, এই প্রান্তিক শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের এই যৎসামান্য পোষাকের টাকা নিয়ে যদি এরকম দূর্নীতি হয়, তাহলে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা যদি এই ম‍্যানেজিং কমিটির হাতে আসে তাহলে কি পরিমাণ দূর্নীতি হবে?

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here