সজিবুল ইসলাম, মুর্শিদাবাদঃ
মাত্র ৬০০ টাকা জেসিবি ভাড়া দিয়ে এনটিপিসির এক গাড়ি ছাই কিনতে পারেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু সেই এক গাড়ি ছাই কিনতে লাগছে ১৯০০ টাকা! জেসিবি মালিককে ছাই ভরাটের জন্য ৬০০ টাকা দিয়ে বাকি টাকা চলে যাচ্ছে কয়েকজন নেতা, প্রশাসন ও মাফিয়াদের পকেটে। প্রতিদিন প্রায় চার শতাধিক গাড়ি চলছে ছাই পুকুরে। ফলে মাসে কয়েক কোটি টাকার দুর্নীতির খেলা চলছে এনটিপিসি ছাই পুকুরে! এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে সরব হলেন ফরাক্কা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম নেতা এজারত আলি। তোলাবাজির অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক, জঙ্গিপুরের মহকুমা শাসক, ফরাক্কা থানার আইসি ও বিডিও’র কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। শুধু তাই নয়, এখনও পর্যন্ত কোনোরকম সুরাহা না মেলায় সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হওয়ার হুমকি দিয়েছেন তৃণমূলের এই নেতা।
ফরাক্কা তৃণমূলের অন্যতম নেতা এজারত আলি লিখিতভাবে অভিযোগে জানিয়েছেন, ফরাক্কা এনটিপিসির দুটি ছাই পুকুর থেকে সিন্ডিকেট তৈরি করে তোলা আদায় চলছে। প্রতি মাসে প্রায় দুই কোটি টাকা তোলা আদায় হয় । এই তোলা আদায়ে শাসকদলের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের মদতে সমাজবিরোধীরা সিন্ডিকেট রাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ওই তৃণমূল নেতার দাবি, রাস্তা তৈরি সহ নানান কাজে ছাই লরিতে করে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ সামশেরগঞ্জে ব্যাঙ্কে অগ্নিকান্ড, পুড়ে ছাই পুরনো কাগজপত্র
এরজন্য এনটিপিসি কোনও পয়সা নেয়না। যে কেউ এখান থেকে লরিতে করে ছাই নিয়ে যেতে পারেন বিনা পয়সায়। অথচ দুটি ছাই পুকুরে সিন্ডিকেট রাজ চালু হয়েছে। চলছে তোলা আদায় । ছাই লরিতে লোড করার জন্য জেসিবি মেসিনের ভাড়া লাগে মাত্র ৬০০ টাকা । কিন্তু লরি প্রতি আদায় করা হয় ১৯০০ টাকা। ফলে ৬০০ টাকা জেসিবি মেসিন মালিককে দিয়ে বাকি টাকা শাসক দলের প্রভাবশালী একাংশ নেতা ও প্রশাসনের একাংশের কাছে চলে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ তার। অবিলম্বে পুরো বিষয়টি তদন্ত করা ও তোলাবাজি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন এজারত আলী।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584