শ্যামল রায়,কালনাঃ
ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ব্লক জুড়ে ধান কেনা শুরু হয়ে গিয়েছে কিন্তু ধান কেনার পদ্ধতিগত দিক নিয়ে নানা রকম অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে । কালনা মহকুমার কালনা এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির আটঘড়িয়া সিমলা এবং কাকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রির টোকেন বিল নিয়ে দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
তবে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে যে এই অভিযোগ যাতে আর না ওঠে তার জন্য ইতিমধ্যেই এলাকার নয়টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধান দের নিয়ে একটি বৈঠক সেরে ফেললেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ খাদ্য ও কৃষি কর্মদক্ষ।শনিবার কালনা এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধক্ষ ইনসান মল্লিক জানিয়েছেন যে বর্তমানে কিষাণ মান্ডিতে সহায়ক মূল্যে ২১ থেকে ২৫ টি টোকেনের ধান কেনা হচ্ছে।১১টি টোকেনে একজন করে চাচি ১০০ বস্তা করে ধান বিক্রি করতে পারবেন কিন্তু টোকেন বিলি শুরুর পর থেকে এতদিন পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে সমান সংখক টোকেন দিয়ে নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে এবং দূর্নীতির অভিযোগ ও উঠছে।তাই আলোচনার মধ্যে দিয়ে চাষীদের সংখ্যার ভিত্তিতে বিভিন্ন পঞ্চায়েতগুলি কে ধান বিক্রির জন্য টোকেন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে পঞ্চায়েত সমিতির তরফ থেকে।
কালনা কৃষ্ণদেবপুর ধাত্রীগ্রাম,নান্দাইগ্রাম, আটঘড়িয়া,সিমলন,কাকুরিয়া,বাঘনাপাড়া, বেগপুকুর,সুলতানপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তাতে টোকেন বিলির সংখ্যাটা বলে দেয়া হয়েছে।
আগে সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রির জন্য চাষিদের কিষাণ মান্ডিতে কমপক্ষে দুদিন করে আসতে হতো।এখন থেকে একদিন আসলেই হবে।তবুও কোন রকম দূর্নীতির অভিযোগ উঠলে সরাসরি স্থানীয় সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এর কাছে অভিযোগ জানানোর কথা বলা হয়েছে।এছাড়াও সমবায় সমিতি গুলিকে ধান কেনার জন্য যোগাযোগ করার কথা বলা হয়েছে।
পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে যে পঞ্চায়েতের চাষিরা ধান বিক্রিতে কোন রকম সমস্যা হলে দ্রুত সমাধান করে দেয়া হবে।
যদিও খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক মেমারি সহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে গিয়েছেন তিনি নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন যে অকারণে ধানের বস্তা থেকে বাদ দেওয়া যাবে না কোন খাদ।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে চালকলের দ্বারা কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কিনা সেটাও তিনি খতিয়ে দেখছেন।
আরও পড়ুনঃ আগামী বর্ষার আগেই সংস্কার হতে চলেছে কাটোয়ার ফেরিঘাট গুলি
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584