নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর দিনাজপুরঃ
হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের মৃত্যু মামলায় মূল অভিযুক্ত মাবুদ আলিকে শনিবার রায়গঞ্জ সিজিএম আদালতে পেশ করলো সিআইডি। মাবুদ আলির বিরুদ্ধে আইপিসি ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল সিআইডি। আদালত ১০ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেছে। মাবুদকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই বিধায়ক মৃত্যুর ঘটনায় অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলবে বলেই মনে করছেন সিআইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।
হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটনে শুক্রবার মালদহের মোথাবাড়ি থানার পুলিশ বাবলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে মাবুদ আলি নামে অন্যতম অভিযুক্তকে। ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক ছিল। গতকাল দুপুরে ঝাড়খন্ড পালিয়ে যাওয়ার পথে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ধৃতের বাড়ি মালদহ জেলার চাঁচল থানা এলাকায়।
আরও পড়ুনঃ মধ্যপ্রদেশে নারকীয় হত্যাকান্ড, মৃত একই পরিবারের ৬ সদস্য
বিধায়কের মৃত্যুর ঘটনায় মালদহের দুই ব্যক্তির নাম জড়িয়ে ছিল। তারমধ্যে একজনকে আগেই গ্রেফতার করেছে সিআইডি। এবার গ্রেফতার হলেন অপর অভিযুক্ত। জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে নিজের বাড়ি থেকে দু’কিলোমিটার দূরে বালিয়ামোড় বাজার এলাকায় একটি বন্ধ মোবাইলের দোকানের বারান্দায় ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেনবাবুর। মৃত বিধায়কের পকেট থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে পুলিশ। তাতে নিলয় সিংহ এবং মাবুদ আলির নাম ছিল।
তবে বিধায়কের স্ত্রী একটি খুনের মামলা দায়ের করেন। বিধায়কের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডিকে। সুইসাইড নোটে নাম উল্লেখ থাকা মালদহের ইংরেজবাজারের বাসিন্দা নিলয় সিংহকে ঘটনার একদিন বাদেই গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুনঃ হেমতাবাদে বিধায়ক খুনের তদন্তে সিবিআই
আর ঘটনার ২৪ দিন বাদে শুক্রবার চাঁচলের ইমানপুরের বাসিন্দা মাবুদ আলিকে মোথাবাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হল। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রয়াত বিজেপি বিধায়কের রায়গঞ্জের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন নিলয় সিংহ। তার মাধ্যমেই মাবুদ আলির সঙ্গে আলাপ হয় বিধায়কের। তারা তিনজনে মিলে একটি রাইসমিল তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছিলেন।
এরজন্য দেবেন্দ্রনাথবাবু বেশ কিছু টাকা দেন। কিন্তু রাইসমিলও হয়নি আর টাকাও ফেরত দিচ্ছিলনা অভিযুক্ত নিলয় সিংহ ও মাবুদ আলি। এরই মাঝে বিধায়কের রহস্যমৃত্যু হয়। ঘটনার পরের দিনই সিআইডির হাতে গ্রেফতার হয় ব্যাঙ্ক কর্মী নিলয় বাবু। কিন্তু খোঁজ মিলছিল না মাবুদ আলির। এরপর সিআইডির হাতে ধরা পড়ে সে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584