শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
কিছুদিন আগেই ব্যবহৃত মাস্ক, গ্লাভস ফেলার জন্য শহর জুড়ে বিশেষ হলুদ ড্রাম বসানোর কথা ঘোষণা করেছিল পুরসভা। এবার করোনা চিকিৎসার বর্জ্য যাতে হাসপাতালের মধ্যে যেখানে সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট রংয়ের বারকোড লাগানো ব্যাগে ফেলা হয়, তার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করল স্বাস্থ্য দফতর। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের বিশেষ অ্যাপ ‘কোভিড-১৯ বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্ট’-এর সাহায্যে ওই বর্জ্য যাতে ঠিকঠাক ভাবে নষ্ট করা যায়, তার জন্যও ২৫ পাতার বিজ্ঞপ্তি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ব্যবহৃত পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস সহ একাধিক বায়োমেডিকেল বর্জ্য নিয়ে নানান অভিযোগ উঠছিল। হাসপাতালের ভ্যাট থেকে এই ধরনের পরিত্যক্ত জিনিস চুরি হওয়ার অভিযোগ উঠছিল। এবার পরিতক্ত বর্জ্য প্যাকেটে ভরে বারকোড লাগিয়ে তা ফেলতে হবে। এই বারকোড স্ক্যান করলেই জানা যাবে সংশ্লিষ্ট মেডিকেল বর্জ্যের বিস্তারিত বিবরণ। জানা যাবে, এই বর্জ্য কোন হাসপাতালে ব্যবহৃত হয়েছিল? কোন কোন কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল? এই বর্জ্য কোথায় ফেলে দেওয়া হবে? বর্জ্যের নিরিখে লাল, হলুদ, নীল এবং সাদা ব্যাগে এই সমস্ত বর্জ্য সংগ্রহ করে রাখা হবে।

সম্প্রতি চিকিৎসা বর্জ্য অপসারণের জন্য রাজ্যগুলিকে বারকোড ব্যবস্থা চালুর নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। কেন্দ্রের ওই নির্দেশিকা মেনেই ওই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সমস্ত করোনা হাসপাতালগুলির সুপারকে বা সংশ্লিষ্ট বিভাগ আধিকারিককে বলা হয়েছে, গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে ‘কোভিড১৯বিডব্লুএম’ অ্যাপটি ডাউনলোড করে লগ ইন করে হাসপাতালের তরফে প্রোফাইল তৈরি করতে।
আরও পড়ুনঃ শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা করাতে এসে হাসপাতাল থেকে উধাও সদ্যোজাত, ধুন্ধুমার আরজিকরে
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সঙ্গে সরাসরি হাসপাতালের সংযোগ রক্ষা করবে এই অ্যাপ। বারকোড লাগানো ব্যাগগুলির নির্দিষ্ট পরিমাণ ভর্তি হয়ে গেলে তা অ্যাপে জানানো হলেও নির্দিষ্ট গাড়ি গিয়ে সেগুলি নিয়ে আসবে। গাড়ির নম্বর এবং চালকের নম্বর অ্যাপেই জানিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত বর্ষের মূল্যায়ণ কী করে হবে? বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য সরকার
তবে এর জন্য বিশেষ কিছু নিয়মও রয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, কলকাতা শহরে প্রতিদিন ২৫ টনের বেশি বায়োমেডিকেল বর্জ্য তৈরি হয়। তাই নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, কোনও বায়োমেডিকেল বর্জ্য অন্য জঞ্জালের সঙ্গে মেশানো যাবে না। নির্দিষ্ট পরিমাণ বর্জ্যের পরিমাণ এন্ট্রি হয়ে গেলে ওই অ্যাপেই সেগুলি নিয়ে আসার জন্য গাড়ির কথা জানানো হবে। তারপর কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সাহায্য নিয়ে ওই বর্জ্য নষ্ট করে ফেলা হবে। স্বাস্থ্য দফতরের এই নয়া উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন চিকিৎসক মহল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584