নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রামঃ
দীর্ঘদিন পর বহু মানুষের সমাগমে জঙ্গলমহলের জেলা ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে উদ্দীপ্ত মিছিল করলো বামেরা। একসময়ের বামেদের শক্তঘাঁটি ছিল এই গোপীবল্লভপুর। কিন্তু রাজ্যে পালাবদলের পর বামেরা এখানে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে,শক্তিবৃদ্ধি করে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল।
অন্যদিকে লোকসভা ভোট ও পঞ্চায়েত ভোটের পর তৃণমূলের পাশাপাশি এই এলাকায় বিজেপির শক্তি বৃদ্ধি ঘটে। পঞ্চায়েত সমিতি রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের হাতছাড়া হয়। এমতাবস্থায় মঙ্গলবার বিশাল মিছিল করে তাক লাগিয়ে দিল বামেরা। দীর্ঘদিন পর লালঝান্ডার মিছিলে জনস্রোত দেখলো গোপীবল্লভপুরের মানুষ।
মঙ্গলবার সুবর্ণরেখা নদীর উপর অবস্থিত সিধু-কানু-বীরসা সেতু সংলগ্ন এলাকা থেকে জমায়েত করে সিপিআইএম সহ বামদলগুলির মিছিল গোপীবল্লভপুর বাজার হয়ে প্রায় পাঁচ কিমি পথ অতিক্রম করে ছাতিনাশোলে গোপীবল্লভপুর-১ নং ব্লক অফিসে যায়।
আরও পড়ুনঃ বালুরঘাটে সারা বাংলা গ্রামীণ সম্পদ কর্মীদের অবস্থান বিক্ষোভ
যে সমস্ত দাবি ও ইস্যুকে সামনে রেখে এদিনের মিছিল ও ডেপুটেশন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো,চাষজমি থেকে কৃষকদের উচ্ছেদ করার প্রতিবাদে,যাদের প্রয়োজন তাদের মাথাপিছু মাসে ১০ কেজি করে খাদ্যশস্য বিনামূল্যে দেওয়ার দাবিতে,পরিযায়ী শ্রমিক সহ গরীব পরিবার গুলোকে মাসে ৭৫০০ টাকা করে সাহায্যের দাবিতে,কৃষিতে বিদ্যুতের ইউনিট মূল্য কমানোর দাবিতে,একশ দিনের কাজের প্রকল্পে বছরে ১০০ দিনের বদলে ২০০ দিন কাজ ও দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে,আবাস যোজনায় উপকৃতদের নাম প্রকাশ্যে টাঙানোর দাবিতে, ঘাটাল ও ডেবরায় ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে,কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে।
আরও পড়ুনঃ বারুইপুরে দাঁড়িয়ে অনুপম হাজরাকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার হুঁশিয়ারি শওকত মোল্লার
এদিন মিছিল শেষে ব্লক অফিস প্রাঙ্গণের গেটে সভা হয় এবং বিডিও’র নিকট ডেপুটেশন দেওয়া হয়। মিছিল নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের তরফে বিশাল পুলিশ বাহিনী মজুত ছিল।
এদিনের মিছিল ও ডেপুটেশন কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন সিপিআইএম-এর জেলা সম্পাদক পুলিন বিহারী বাস্কে, প্রদীপ কুমার সরকার,স্বপণ ফৌজদার, অনিল পড়্যা,বিশ্বরঞ্জন খামরি,শম্ভু বিন্ধানী, শোভন পাল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584