নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
উদ্বোধনের পূর্বেই নবনির্মিত শ্মশানে দেওয়ালের ফাটল, ছাউনি দিয়ে পড়ছে জল,সেই সঙ্গে শ্মশান নির্মাণের জন্য বরদ্দকৃত অর্থ এবং নির্মাণ কার্যে যুক্ত থাকা শ্রমিক সংখ্যার তথ্য সমন্বিত ফলক ভাঙা ঘিরে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত বোর্ডের বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার আশঙ্কা ঘনীভূত হতে শুরু করেছে। তাহলে কি শ্মশান নির্মাণেও চুরি, ৪নং হরসুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েত বোর্ডের বিরুদ্ধে এমনই ধারণা ঘনীভূত হতে শুরু করেছে হরসুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের মালাহার, শিরাহাল,জাবরাহাল এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দাদের মনে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের ৪নং হরসুরা গ্রাম পঞ্চায়েত অধীনস্থ মালাহার,শিরাহাল এবং জাবরাহাল সংসদ মিলিয়ে এই তিনটি সংসদে প্রায় তিন হাজার তিনশো মানুষ বসবাস করে।এই তিন গ্রাম সংসদের মানুষরা মৃতদেহ পোড়ানোর জন্য মালাহার সংসদে অবস্থিত শ্মশানটি ব্যবহার করত দীর্ঘদিন ধরে।কিন্তু মালাহার সংসদে পূর্ব নির্মিত থাকা শ্মশানটির উপরে কোন ছাউনি না থাকায় বর্ষাকালে শবদেহ দাহ করতে সমস্যার মুখে পড়ত হত এই সমস্ত এলাকার মৃতের আত্মীয় পরিজনদের। এরপর স্থানীয় গ্রামবাসীদের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে ৪নং হরসুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিগত তৃণমূল কংগ্রেসের বোর্ড মালাহার সংসদের পুরানো শ্মশান চত্বরে ছাউনি সহ শ্মশান নির্মাণ করে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ নবনির্মিত শ্মশান নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হওয়া ৫-৬ মাস হয়ে গেলেও এখনো নবনির্মিত শ্মশানটি উদ্বোধন হয়নি।৪নং হরসুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ইতিমধ্যেই গ্রামবাসীদের উদ্দেশ্যে নির্দেশ জারি করেছে এই মর্মে যে উদ্বোধন না হওয়া পর্যন্ত নবনির্মিত শ্মশানে শবদাহ করা যাবে না। শ্মশানটি উদ্বোধন না হওয়ার ফলে সমস্যায় পড়েছে মালাহার, শিরাহাল,জাবরাহাল সংসদের বাসিন্দারা। সেই সঙ্গে উদ্বোধনের পূর্বেই নবনির্মিত শ্মশানে দেওয়ালে ফাটল ধরা নিয়ে উঠেছে শ্মশান নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে গ্রামবাসীরা যেমন সরব তেমনি শ্মশান নির্মাণের তথ্য সমন্বিত ফলক কেন ভাঙা অবস্থায় রয়েছে সেই বিষয়ে গ্রামবাসীরা দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছেন। এমন ঘটনায় গ্রামবাসীদের অভিযোগের কাঠগড়ায় ৪নং হরসুরা গ্রাম পঞ্চায়েত।মালাহার গ্রামের বাসিন্দা বিভাস সরকারের অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে নবনির্মিত শ্মশানের ফলক ভাঙা হয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষ জানতে না পারে যে শ্মশান নির্মাণে কত টাকা খরচ হয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ শোনার পর ৪নং হরসুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান প্রধান রবি কুজুরের কাছে বিষয়টি সম্বন্ধে প্রশ্ন করা হলে প্রধান রবি কুজুর বলেন আমার আগে এই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রধান ছিলেন বিশ্বাস কুজুর।উনার(বিশ্বাস কুজুরের) আমলে ঐ শ্মশানটি নির্মাণ হয়েছিল।এই বিষয়ে আমি ঠিক বলতে পারব না, আমি নতুন।এর পাশাপাশি তিনি এও জানান নবনির্মিত শ্মশানটি কোন ফান্ডের টাকা দিয়ে তৈরী করা হয়েছে তাও তিনি জানেন না।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ দামোদর রুটে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘটে জেরবার নিত্যযাত্রীরা
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584