সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
দিনে ষাট বারেরও বেশি রেলগেট পড়ে এবং ওঠে।দীর্ঘক্ষন পড়ে থাকা রেলগেট আটকে যায় শহর।নিত্যদিনের এই ভোগান্তি গা সওয়া হয়েছে অন্ডাল ব্লকের কাজোড়া রেলগেট লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের।খনি শহর কাজোড়া উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম।কিন্তু মাঝপথে রেলগেট স্তব্ধ করে দেয় এ শহরের গতিকে। দিনে একাধিক এক্সপ্রেস,লোকাল, সাপ্তাহিক ট্রেন ছাড়াও মালগাড়ি যাতায়াত করে চল্লিশটিরও বেশি। ফলতঃ সারাদিন জুড়ে রেলগেট পড়েই থাকে বেশিরভাগ সময়ে। এলাকাবাসীর বক্তব্য, এই রাস্তাতে রানীগঞ্জ বগুলা ভায়া কাজোড়া রুটের মিনিবাস চলে। কাছাকাছি রয়েছে স্কুল, কলেজ থেকে নার্সিংহোম,হাসপাতাল সবই। কিন্তু রেলগেট বন্ধ হয়ে যাবার ফলে সমস্যায় পড়েন সবাই। রেল লাইনের ধারে রয়েছে দুটি উচ্চ বিদ্যালয়,চারটি প্রাথমিক এবং একটি জুনিয়র হাইস্কুল। তাছাড়া এই রাস্তা দিয়ে এখান থেকে দুর্গাপুর যাওয়া যায় খুব সহজেই।নিত্যযাত্রীদের বক্তব্য, প্রায় সময়ই নাকাল হতে হয় রেলগেটে।তার কারণ দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকার ফলে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়।সে যানজট কাটতে না কাটতে ফের বন্ধ হয়ে যায় রেলগেট। স্থানীয় বাসিন্দা অর্ণব সেন বলেন,দীর্ঘদিন থেকেই উড়ালপুলের দাবি জানানো হচ্ছে কিন্তু প্রশাসন এ বিষয়ে কোন নজর দেয়নি। সিপিএমের পশ্চিম বর্ধমান জেলার সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য প্রবীর মন্ডল জানান, আন্দোলনের জেরে ২০১০ সালে রেল কর্তৃপক্ষ এখানকার রেলগেট এলাকায় জমির মাপজোক করেছিলেন।কিন্তু তারপর থেকে আর কোন কাজ এগোয়নি। স্থানীয় তৃণমূল নেতা মলয় চক্রবর্তীও বিষয়টি নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার আবেদন জমা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রতিযোগিতা ঘিরে পিঠেপুলির গন্ধে মাতোয়ারা নামখানা
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584