স্বামীর দ্বারা অ্যাসিড আক্রান্ত স্ত্রী নলহাটিতে

পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ

পরিকল্পিত ভাবে ফাঁকা জায়গা ডেকে স্ত্রীর মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ল স্বামী।অ্যাসিডে স্ত্রী ও শালিকার শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গিয়েছে।তাদের রামপুরহাট হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
জানা গিয়েছে, বীরভূমের নলহাটির করিমপুর এলাকার বাসিন্দা তনুজা খাতুন বছর দুয়েক আগে ভালোবেসে ১০নম্বর ওয়ার্ডের রনি শেখকে বিয়ে করে।বিয়ের কয়েকমাস পর থেকেই তনুজাকে সন্দেহ করতে থাকে রনি।শুরু হয় তনুজার উপর অত্যাচার।ফলে দিন দুয়েক আগে তনুজা বাপের বাড়ি পালিয়ে আসে।গতকাল সন্ধ্যার দিকে রনি ফোনে তনুজাকে ডাকে।সে তনুজাকে বলে তার আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ড প্রয়োজন। ফোনের কথা বিশ্বাস করে তনুজা বোন কুলসুমা খাতুনকে সাইকেলের পিছনে বসিয়ে নলহাটি কলেজ সংলগ্ন একটি নার্সিং হোমের কাছে যায়। সেখানে বোতলে অ্যাসিড নিয়ে অপেক্ষা করছিল রনি।তারা কাছে যেতেই বোতলে ভরা বিষ খেয়ে আত্মহত্যার অভিনয় করে রনি।বাধা দিতে গিয়ে দু’ফোঁটা অ্যাসিড হাতে পড়ে কুলসুমার। তখনই তারা রনির কু-মতলব ধরতে পেরে সাইকেল নিয়ে পালাবার চেষ্টা করে। সেসময় রনি মোটরবাইক নিয়ে তাদের ধাওয়া করে অ্যাসিড ছুঁড়ে দেয়। অ্যাসিডে তনুজার মুখসহ শরীরের বেশ কিছু অংশ পুড়ে যায়। বোন কুলসুমারও শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গিয়েছে।তারা রাস্তায় পড়ে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ততক্ষণে গা ঢাকা দিয়েছে রনি। পরিবারের পক্ষ থেকে রনির বিরুদ্ধে নলহাটি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে নলহাটি থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।গৃহবধূ তুনজা খাতুন জানান,বিয়ের পর থেকেই রনি নানা অছিলায় অশান্তি করত,মারধোর করত, এর আগে দুবার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাপের বাড়ি চলে এসেছিলাম, কিন্তু রনি পরে গিয়ে নিজের ভুল স্বীকার করে আমাকে নিয়ে এসেছে,এবার অত্যাচার মাত্রা ছাড়ালে আর সহ্য করতে পারিনি,মিথ্যে বলে ডেকে গায়ে অ্যাসিড মেরেছে,রনির কঠিন শাস্তি দাবী করেন তনুজা খাতুন।