সিমা পুরকাইত,কাকদ্বীপঃ
সুন্দরবনের একশ আটটি ছোট বড় দ্বীপের মধ্যো অন্যতম কাকদ্বীপ।এই দ্বীপের নামকরনের নেপথ্য রয়েছে কাক পাখির হাত।তেভাগা আন্দলোনের সাক্ষী এই কাকদ্বীপ।ছোট ছোট নদী উপনদী শাখানদী ভাগে বিভক্ত করেছে এই দ্বীপকে। পূর্বে কালনাগিনি। পশ্চিমে মুড়িগঙ্গা । দক্ষিনে হাতানিয়া দোয়ানিয়া।আর উত্তর দক্ষিন বরাবরি ঘৃতনদী।
একটা সময় দক্ষিন সুন্দরবনের হেতাল গরান আর গেওয়া ভরা জঙ্গলে ভরপুর ছিল এই দ্বীপ।ডাঙায় বাঘ জলে কুমির নিয়ে বসবাস শুরু করে এই এলাকা বাসি।আজ সময় বদলেছে।বদলেছে কাকদ্বীপে হালহাকিকত।শহরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আজও এগিয়েছে এই শহর।কিন্তু এই দ্বীপের নামকরনের পিছনে রয়েছে কাকেদের দ্বীপ। সুন্দরবনের নানান রকমের পাখি সচারআচার দেখা গেলেও,শহরের বুকে কর্কশ শব্দ আর নোংরা এলাকায় দেখা মেলে কাকদের।কিন্তু দীর্ঘ বছর ধরে হাজার কাক রাতে আশ্রয় নেই এক দ্বীপে।কাকদ্বীপ ব্লকের বিবেকানন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের ময়নাপাড়া গ্রাম।এই গ্রামের পশ্চিম প্রান্তে মুড়ি গঙ্গানদীর বেশ কিছু দীর্ঘমান দ্বীপ রয়েছে।যা এলাকাবাসি আর পর্যটকদের কাছে কাকেদের আশ্রয় দ্বীপ নামে পরিচিতি পেয়েছে।ভোর হলে হাজার হাজার কাকেদের দল পারি দেয় দ্বীপ থেকে। এলাকাবাসিদের মতে মানুষের মতো কাকেরা রুটিরুজির তাগিদে শহরের এপার প্রান্ত থেকে ওপার প্রান্তে ছুটে বেড়ায় তারা।আর যখন পারি দেয় কর্কশ শব্দ করতে করতে।তবে একাধিক কর্কশ শব্দে সুমধুর শব্দ বলে মনে হয় এলাকাবাসির।সেই শব্দে ঘুম ভাঙে প্রবীন থেকে নবীনদের।সময়ের সাথে সাথে বদলেছে ময়নাপাড়া গ্রামের হালহাকিকত। বদলেছে রাস্তাঘাটের রূপ,কিন্তু বদলাইনি এলাকাবাসির কাছে কাকেদের দেখার পালা। বিকালের দিনগুলিতে।আট থেকে আশি সবাই আসে সন্ধ্যায় ফেরার দৃশ্য দেখতে।
এক ঝাঁক কাক ফেরে কাকদের দ্বীপে। রাত কাটাতে।শুধু ডাক আর এক ঝাঁক কাক দেখে প্রেম নয় । এলাকায় যত নোংরা আর্বজনা থাকে,তা নিমেষে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে এই কালো কাক।শুধু এলাকাবাসি নয় পার্শ্ববর্তী এলাকার পাশাপাশি দুরদুরান্তের পর্যটকেরা দেখতে আসেন এই দ্বীপের কাক দেখতে।শুধু কাক নয় যৎসামান্য রয়েছে পানকৌডি বক দের বাস।তবে রাজত্ব চলে কাক নিয়ে।আজও হাজার হাজার কাক দেখা য়ায় এই কাকের দ্বীপে।
আরও পড়ুনঃ আক্রোপলিস মলে দেবের নাচে মুক্তি হইচই
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584