শ্যামল রায়, নদীয়াঃ
আজ থেকে নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজোয় মানুষের ঢল নামবে।তাই পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকেও মানুষের ঢল সামাল দিতে তৈরি বলে জানা গিয়েছে।নতুন নতুন থিমের বৈচিত্র্যে এবার জগদ্ধাত্রী পুজো জমে উঠেছে। কৃষ্ণনগর শহরের আদি পুজো গুলিকে এবার স্বল্প বাজেটে করে থিমে টেক্কা দিয়েছে বহু পুজো কমিটি।চাষা পাড়ার বুড়িমা ছোট-মা ঐতিহ্য আর সাবেকিয়ানার জৌলুসময় হয়ে উঠেছে।কোথাও রুপোর রথ কোথাও নায়াগ্রা জলপ্রপাত কোথাও আবার ৫১ পীঠের প্রতিমা এইসব দিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো।একে অপরকে টেক্কা দিতে তৈরি পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা।জগদ্ধাত্রী পুজোর পীঠস্থান চন্দননগর হলেও হার মানেনি কৃষ্ণনগর। কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় গরিমা অক্ষুণ্ণ রেখে প্রতিবারই পুজোর উদ্যোক্তারা নতুন কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেন।নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে শুধু জগদ্ধাত্রী পুজো তা নয় জেলার অন্যত্র জগদ্ধাত্রী পুজোর একটা রমরমা বাড়ছে নদীয়া জেলার তেহট্টে। এছাড়াও নবদ্বীপ শহরেও দু একটি জায়গায় জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন বাড়ছে।নবদ্বীপ শহরের রাধা বাজারে অসিত নন্দীর বাড়িতে এই প্রথম জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা হলো।কবি সাহিত্যিক তপতী নন্দী জানিয়েছেন যে তাদের মনের ইচ্ছা প্রতিবছর জগধাত্রী পূজা অনুষ্ঠিত হয় তার জন্য তারা চেষ্টা করে যাবেন। যদিও তিনি উল্লেখ করেছেন যে স্বপ্নাদেশ এবং মানত এর সুফল পাওয়ার পর তারা এই জগধাত্রী পুজোর সূচনা করলেন।খুশি তাদের বাড়ির সকলে।এছাড়াও নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে চাসাপারার বুড়িমা পুজোয় মানুষের ঢল নামে। বউবাজারের বারোয়ারি গোলাপ পট্টির বারোয়ারি শক্তিনগর পাঁচ মাথা মোড় এর বারোয়ারি রায়পাড়া মালি পাড়ার বারোয়ারি পাত্র বাজারের পুজো ষষ্ঠীতলার পুজো রাধানগরের অন্নপূর্ণা বারোয়ারি পুজো বাগাডাঙ্গা বারোয়ারির পুজো প্রীতি সম্মিলনীর পুজো কলেজস্ট্রিট বারোয়ারি পুজো রেনবো ক্লাবের পূজো ঘূর্ণির নবারুণ সঙ্গে মানুষের ঢল নেমেছে।তবে কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় ঘট বিসর্জন দেখবার মতো তাই রবিবার ঘট বিসর্জন এর দিন ব্যাপক নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় শহর।আর এই ঘট বিসর্জন এর ঐতিহ্য দেখার জন্য রাস্তার দু’পাশে সারি সারি ভাবে দর্শকদের দেখা যায়।
অন্যদিকে হাটের জগদ্ধাত্রী পুজোয় থিমের জুয়ার এবং আলোকসজ্জায় ভরে উঠেছে।
ঠাকুর পাড়ার বারোয়ারি পুজো সিনেমা মহল পাড়ার পুজো ঐক্যতান ক্লাবের পূজো ইউনিক ক্লাবের পূজো তে বিডিও অফিস পাড়ার পুজো দেখতে মানুষের ঢল নামবে সন্ধ্যা থেকে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব পুজো উদ্যোক্তাদের জানানো হয়েছে যে বিসর্জন এর সঙ্গে সঙ্গে প্রতিমার কাটামো জলঙ্গি নদী থেকে তুলে নিয়ে যেতে হবে।
এই বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গ্রামীণ তন্ময় সরকার বলেন প্রতিটি পুজো প্যান্ডেলে পুলিশ থাকবে রাস্তায় থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশ প্রতিটি পুজো উদ্যোক্তাদের সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে এই উৎসবকে কেন্দ্র করে যাতে কোন রকম অশান্তি না হয় তার জন্য সব রকম ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই গ্রহণ করা হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584