শীত পড়তে না পড়তেই সুগন্ধি পিঠের স্বাদ নিতে বাড়ছে ভিড়

0
92

পিয়া গুপ্তা,উত্তর দিনাজপুরঃ

শীত পড়তে না পড়তেই কালিয়াগঞ্জে গরম আর সুগন্ধি ভাপা পিঠা’ বিক্রির ধুম পড়েছে।উত্তর দিনাজপুর জেলার পৌর শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে রাস্তার মোড়ে সবখানেই চলছে ঐতিহ্যবাহী ভাপা পিঠা।

নিজস্ব চিত্র

এই পিঠার স্বাদে ক্রেতারা মুগ্ধ।শীতের সময় এখানকার নিম্ন আয়ের অনেক মানুষের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন ভাপা পিঠার ব্যবসা।একদিকে ভাপা পিঠার স্বাদ অন্যদিকে চুলার আগুন আর জলীয় বাষ্পের উত্তাপ যেন চাঙ্গা করে দেয় দেহমন।

নিজস্ব চিত্র

অনেকেই পিঠার দোকানে চুলার পাশে বসেই গরম পিঠা খাচ্ছেন।অনেকে পরিবারের চাহিদা মেটাতে কেউ কেউ আবার পিঠা কিনে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া সন্ধ্যার পর বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান,অফিস, দোকান, ক্লাব, আড্ডায়ও পিঠার আয়োজন লক্ষ করা যায়।শীতকালে শ্রমজীবী,রিকশাচালক, ড্রাইভার,শ্রমিকসহ অভিজাত পরিবারের লোকজনের কাছে প্রিয় শীতের এই পিঠা। চালের গুঁড়ার সাথে আটা বা ময়দা মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ভাপা পিঠার মতো দেশীয় জাতের পিঠা।মাটির চুলায় খড়ি অথবা জ্বালানি গ্যাস পুড়িয়ে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পিঠা তৈরি ও বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা।

নিজস্ব চিত্র

জেলার বিভিন স্থানে ভাপা পিঠার দোকানে সকাল-সন্ধ্যায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লেগেই থাকে। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের।মহেন্দ্রগঞ্জের এক পিঠা ব্যবসায়ী প্রেম বর্মন  জানান,দীর্ঘ দশ বছর ধরে এ ব্যবসা চালাচ্ছেন তিনি।গরমে তিনি বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করলেও শীতের মরশুমে তিনি ভাপা পিঠা ও পিঠা পুলি বিক্রি করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সুখে- শান্তিতে দিন যাপন করছেন।তার হাতের তৈরি পিঠা ক্রেতারাও বেশ পছন্দ ও আগ্রহ সহকারে ক্রয় করছেন। বন্ধুবান্ধবসহ অনেকেই মিলেমিশে তার দোকানে ভিড় করছেন।

নিজস্ব চিত্র

তার হাতের পিঠার রয়েছে বেশ সুনাম। প্রতি পিঠার মূল্য নিচ্ছেন পাঁচ ও দশ টাকা করে। প্রতিদিন প্রায় ৫০০-৭০০ টাকার পিঠা বিক্রি করে তার লাভ থেকেই স্বচ্ছন্দে চলছে তার সংসার।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here