লকডাউনে মাওবাদী অধ্যুষিত গ্রামে খাদ্য বিতরণে সিআরপিএফ জওয়ানরা

0
35

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রামঃ

নোভেল করোনা ভাইরাসের জেরে জর্জরিত বিশ্বের একাধিক দেশ। আর একইভাবে ভারতেও করোনার প্রভাব পড়ায়, গোটা দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। আর যার ফলে দিনের পর দিন অচেনা আতংক গ্রাস করছে দেশবাসীকে| আর এর পাশাপাশি রাজ্যের ঝাড়গ্রাম জেলায় রয়েছে লোধা শবর অধ্যুষিত পূর্ণাপানি গ্রাম।

Food distribute | newsfront.co
জওয়ানদের খাদ্য বিতরণ। নিজস্ব চিত্র

সেই গ্রামে প্রায় শ-দুয়েক শবর পরিবারের বসবাস। যদিও তারা সকলেই প্রায় জঙ্গল থেকে কাঠ,পাতা কুড়িয়ে পাঁচ কিলোমিটার দূরের লালগড় অথবা ভীমপুরে বিক্রি করে কোন মতে দিন চালান। তবে এই লকডাউনের যাঁতা কলে পড়ে সেইসব মানুষদের অবস্থা এখন বিপর্যস্ত। এর পাশাপাশি রাওতাড়া , করমশোল, জঙ্গলখাস, লোধাবস্তি গ্রামগুলির চিত্রটা আরও ভয়াবহ |

Food distributed | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

খাদ্যের অভাবে দিনের পর দিন ধুঁকছে নিরন্ন লোধা-শবর ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রায় হাজার দুয়েক মানুষ।
বৃহস্পতিবার সেই একদা মাওবাদী অধ্যুষিত পূর্ণাপানি ও পাশের রাওতাড়া গ্রামে খিচুড়ি বিতরণ করলেন সিআরপিএফ জওয়ানরা।

Social distance | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

জানা যায় একদা কোনও এক সময় মাওবাদীদের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল লালগড় থানা এলাকার এই গ্রামগুলি। তখন রাতের অন্ধকার ঘনিয়ে এলেই, মাওবাদীদের কবলে থাকত এই গ্রামগুলি। এমনকি বন্দুকের নলের ভয়ে অনেক অন্যায় দাবী মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন গ্রামবাসীরা।

আরও পড়ুনঃ লকডাউনে সীমান্তের দুঃস্থ ভারতীয় নাগরিকদের ত্রাণ বিতরণ তৃণমূল সাংসদের

তাই লকডাউনে সেই সব স্মৃতি মুখরীত এলাকা জঙ্গলমহলে, মোতায়েন থাকা সিআরপিএফের ৫০ নম্বর ব্যাটেলিয়ান দিনের পর দিন ধরে খাদ্য বিতরণের পাশাপাশি বিভিন্ন জন কল্যাণ মূলক কর্মসূচি গ্রহণ করে চলেছে।

যদিও এ বিষয়ে ৫০ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের কমাণ্ড বজরঙ্গ লাল বলেন “এই জটিল পরিস্থিতিতে আমরা বাহিনীর পক্ষ থেকে সমস্ত গ্রামগুলিতে খাবার, মাস্ক ও রেশন দ্রব্য বিতরণ করেছি আগেই। এছাড়াও লকডাউন যতদিন চলবে আমরা বিভিন্ন গ্রামগুলিতে খাবার ও রেশন বিতরণ করে যাবো|” সিআরপিএফের এই জন কল্যান মূলক কাজ দেখে খুশি গ্রামবাসীরা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here