কালিয়াগঞ্জ গণধর্ষণের ঘটনায় ধৃত পলাতক অভিযুক্ত

0
37

পিয়া গুপ্তা, উত্তর দিনাজপুরঃ

গোপন সূত্রের ভিত্তিতে অবশেষে ধরা পড়লো কালিয়াগঞ্জ গণধর্ষণ ঘটনায় জড়িত ৩ অপরাধীর মধ্যে আরেক অপরাধী সুজন বর্মন। গোপন সূত্রের খবর সোমবার সকাল ৬ টা নাগাদ পেয়ে কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ তৃতীয় অভিযুক্ত সুজন বর্মন-কে অবশেষে হলদিবাড়ি থেকে ধরে। অভিযুক্ত সুজন বর্মন কালিয়াগঞ্জে ধনকোল হরিহরপুরের বাসিন্দা।

ধৃত। নিজস্ব চিত্র

জানা যায় বর্ষবরণের রাতে কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পর, পর পর দু’বার ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন কালিয়াগঞ্জের এক তরুণ বধু। মিথ্যা কথা বলে প্রথমে তাকে রাস্তা থেকে বাইকে করে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্জন স্থানে প্রথমে দুই যুবক তাকে মদ্যপান করে ধর্ষণ করে। দুই যুবকের থেকে রেহাই পেতে না পেতে উদ্ধারকর্তা ছদ্মবেশে আরো এক যুবক তাকে ফের ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

পুলিশ আধিকারিক। নিজস্ব চিত্র

গণধর্ষণের এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কালিয়াগঞ্জে। প্রথম দুই অভিযুক্ত শিবু বর্মন ও নকুল মহন্তকে গ্রেফতার করা হলেও। তৃতীয় পলাতক অভিযুক্ত সুজন বর্মনকে অবশেষে সোমবার ৬ টা নাগাদ গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে ধরে ফেলে কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ।

জানা যায় কালিয়াগঞ্জের একটি প্রান্তিক গ্রামের এক হোটেলে রান্নার কাজ করতেন ওই তরুণী। পাশেই তার মা ফুটপাতে লটারি টিকিট বিক্রি করতেন। নির্যাতিতা তরুণীর স্বামী ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। দুই ভাই-বোনকে নিয়ে ওই অভিযোগকারিণী তার মায়ের কাছেই থাকেন। ৩০ শে ডিসেম্বর রাতে হোটেল থেকে একা বাড়ি ফিরছিলেন বছর ২৭ এর ওই তরুণী। মাঝপথে তার পরিচিত দুই যুবক জানায় তার স্বামী এসেছে, পাশেই একটি জায়গায় পিকনিক করছে। তরুণীকে স্বামীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার নাম করে ওই দুই যুবক মোটরবাইকে উঠিয়ে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে এক জমিতে নিয়ে গিয়ে তাকে জোর করে মদ্যপান করিয়ে তার উপর একাধিকবার অত্যাচার চালায় বলে অভিযোগ। দুই যুবক অত্যাচার চালাচ্ছে এমন সময় নিজের বাড়ির জানালা দিয়ে দেখতে পায় এক যুবক অভিযুক্ত দুই যুবক পালিয়ে যেতে ধর্ষিতা চিৎকার করেন তা শুনতে পেয়ে উদ্ধার করার নাম করে ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কর্তা সেই যুবক তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। রাত হয়ে গেলে বড় মেয়ে বাড়ি না ফেরায় তার মা খুঁজতে বের হন। প্রথমে তিনি কালিয়াগঞ্জ শহরে হোটেল মালিকের বাড়িতে গিয়ে মেয়ের নিখোঁজের কথা জানান। এরপর হোটেল মালিককে সঙ্গে নিয়ে মেয়ের খোঁজ করেন। হোটেল মালিক বলেন আমরা যখন ওই তরুণীকে হন্য হয়ে খুঁজি তখন এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান দুই যুবক তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। পরে দেখি মেয়েটির বিধস্ত অবস্থায় হেঁটে আসছে।

কালিয়াগঞ্জ থানার আই সি আশীষ দলুই জানান যে এক গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে হলদিবাড়ি থেকে ধরা হয় সেই অভিযুক্ত সুজন বর্মন কে। আজ তাকে কোর্টে পেশ করা হবে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here