সুদীপ পাল, বর্ধমানঃ
চাষ শুরুর সময় বৃষ্টির অভাবে আমন ধান রোয়া আদৌ যাবে কিনা সে নিয়ে সংশয় পড়েছিলেন বর্ধমানের চাষীরা। কিন্তু গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সম্পূর্ণ খামতি পূরণ না হলেও তার অনেকটাই পূরণ হয়েছে বলে মনে করছেন কৃষিকর্তারা।
একই সাথে সেচ খালের জল ছাড়া হয়েছে, ফলে ধান রোপনের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে বর্ধমানের চাষীদের আর বেশি সময় লাগবে না বলেই মত তাঁদের।
কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা যায়, খরিফ মরসুমের শুরুতে জুন মাসে ৫৭ শতাংশ এবং জুলাই মাসে প্রায় ৩৭ শতাংশ ঘাটতি ছিল বৃষ্টির। আগস্টের প্রথম সপ্তাহে টানা বৃষ্টি হওয়ায় সে ঘাটতি অনেকখানি কমে গেছে। তা কমে ২৯ শতাংশ নেমেছে। এখনো পর্যন্ত জেলায় ধান চাষের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ৭৬ হাজার ৪৭৮ হেক্টর। গলসি, আউসগ্রাম-সহ বর্ধমানের বিস্তীর্ণ এলাকার চাষীরা বলছেন, প্রথমদিকে সংশয় হয়েছিল চাষ এবারে হবে কিনা। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় পুরোদমে চাষিরা মাঠে নেমে পড়েছেন।
যদিও চাষীদের একাংশের মত, জলাধার থেকে প্রথম দফার জল ছাড়া শেষ হয়ে গেলে এবং যদি বৃষ্টি আর একটু না হয় তাহলে কিন্তু চাষিরা সমস্যায় পড়বে। ইতিমধ্যে জানা গেছে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দফায় দফায় জল ছাড়বে ডিভিসি।
আরও পড়ুনঃ ঝুলনে সম্প্রীতির বার্তা
কিন্তু সেক্ষেত্রেও রয়ে গেছে প্রশ্ন। যদি ঝাড়খন্ডে বৃষ্টি না হয় তাহলে জলাধার থেকে জল কিভাবে ছাড়া হবে বা আদৌ নিয়মমাফিক হবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে ভুগছেন চাষীরা।
জেলা উপ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ১৫ আগস্টের মধ্যে ধান রোপন করার শেষ সময় সময়সীমা। তবে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত এবং জল ছাড়া দেখে মনে হচ্ছে ২০ আগস্টের মধ্যে ধান রোপন শেষ হয়ে যাবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584