রিচা দত্ত,মুর্শিদাবাদঃ
আজ সেই অভিশপ্ত দিন। ঠিক এক বছর আগে আজকের এই দিনে ২৯শে জানুয়ারি ভোরের কুয়াশায় ভান্ডারদহ বিলের জলে তলিয়ে যায় সরকারি একটি বাস। বাসের যাত্রী ছিলেন ৫৭ জন।তার মধ্যে ৪৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।বাকিরা মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
নদিয়ার করিমপুর থেকে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার একটি সরকারী বাস বহরমপুর হয়ে মালদা যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ দৌলতাবাদ বালির ঘাট সেতুর উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর রেলিং ভেঙে সরাসরি জলের নিচে তলিয়ে যায়। ঘটনার পর মুহূর্তেই স্থানীয় বাসিন্দা ও উপস্থিত জেলেরা নিজ উদ্যোগে উদ্ধারকার্য শুরু করেন।দুর্ঘটনাগ্রস্ত মানুষদের কয়েকজন গাড়ির কাচ ভেঙে বেরিয়ে এসে কোনরকমে তারা সাঁতরে ওঠে।
আরও পড়ুন: অবৈধ নির্মানের অভিযোগ সি পি আই(এম) কর্মীর বিরুদ্ধে
উদ্ধার কাজ সময়মতো শুরু না হওয়ায় ক্ষোভে জনতা পুলিশের গাড়ি পোড়ানো থেকে শুরু করে গাড়ি ভাঙচুর করেন। পরে দুটি ক্রেন এসে বাসটিকে যতবার তোলার চেষ্টা করেছে ততোবারই দড়ি ছিঁড়ে পড়ে গেছে।শেষ পর্যন্ত দিন পেরিয়ে প্রায় সন্ধ্যে নাগাদ বাসটিকে জল থেকে তোলার পর উদ্ধারকারী টিম বাস থেকে একে একে নিথর দেহ গুলিকে বের করে আনে। এরপর দুদিন ধরে চলেছিল এই উদ্ধার কাজ।এখনো পর্যন্ত বালিরঘাট সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়াতের সময় সেই দিনের দুর্ঘটনার স্মৃতি বারবার উসকে দেয় মানুষের মনকে। এখনো পর্যন্ত ২৯ শে জানুয়ারির স্মৃতি জ্বলজ্বল করছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সেই সঙ্গে পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ঘটনাস্থলে এসেছিলেন।
পরিস্থিতি সামলে ওঠার পর বালিরঘাট সেতুটি নতুন করে সংস্কার করা হয়। পথ যাত্রীদের জন্য আলাদা করে ফুটপাত করা হয়।সেই সঙ্গে ব্রীজের দুই প্রান্তে বাম্পার ও ওয়াচ টাওয়ার করা হয়। এখন নিয়মিত নজরদারি করেন সিভিক ভলেন্টিয়াররা।কিন্তু চালকদের মোবাইল ব্যবহার কি নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে(?)
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584