শ্যামল রায়,কালনাঃ
নাতনি ও মেয়ের বিয়ে দিতে,ভবিষ্যতে নিজেদের চিকিৎসার জন্য টাকা সুরক্ষিত রাখতে সমবায়ে টাকা জমা রেখেছিলেন অনেকেই।কিন্তু বর্তমানে নিজেদের রাখা টাকা পাচ্ছেন না গ্রাহকরা।এই কারণে মহাসমস্যায় পড়েছেন মন্তেশ্বরের আসানপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির গ্রাহকরা।অনেকেই বিধবা ভাতার টাকা ও দিনমজুরির টাকা ওই সমবায়ে রেখেছিলেন।এই বিষয়ে গ্রাহকরা লিখিতভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী,সমবায় মন্ত্রীসহ জেলাশাসক ও মহকুমাশাসককে জানিয়েছেন বলেই জানান।স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে যে,মন্তেশ্বরের আসানপুরের ওই সমবায় সমিতিতে সাহাপুর,আসানপুর,রুইগড়িয়া গ্রামের মানুষজন টাকা রেখেছিলেন।মূলতঃ দিনমজুর ব্যক্তি থেকে প্রৌঢ়রাই ছিলেন এই সমবায়ের গ্রাহক।তাদের উপার্জিত অর্থ সুরক্ষিত রাখতে ওই সমবায়ে টাকা জমা রাখেন।কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারণে ওই সমবায়ের ম্যানেজার অমিয় কুমার দাঁ আত্মঘাতী হোন তিনবছর আগে।তারপর থেকেই আর টাকা পাওয়া যাচ্ছেনা।সমবায়ের সত্তরোর্ধ বয়সী গ্রাহক কুমলি দাসের অভিযোগ,বিধবা ভাতার টাকা যা পেয়েছি ওই সমবায়ে রেখেছিলাম ভবিষ্যতের জন্য।পঁচিশ হাজার টাকা থেকেও পাচ্ছিনা।চিকিৎসা করাতে পারছি না।
ঝর্ণা মাঝি,সাগর দাস,সমর ঘোষরা বলেন নাতনি ও মেয়ের বিয়েও দিতে পারছি না টাকা না পাওয়ার কারণে।টাকা না পেলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন পথ থাকবে না আমাদের।সমবায়ের প্রাক্তন সম্পাদক শিশির ঘোষ বলেন, গ্রাহকদের দাবি জমাকৃত অর্থের পরিমান ২৫ লক্ষেরও বেশি। বর্তমানে যা জানতে পেরেছি সমবায়ের জমা টাকার পরিমান সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা। বাকি টাকা কোথায় গেল বুঝতে পারছি না।দীর্ঘদিন ধরে কোন অডিটও হয়নি।সমাধান চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী,জেলাশাসক,মহকুমাশাসককে ডাকবিভাগের মাধ্যমে লিখিত আবেদন জানিয়েছি।সমবায়ের এআরসিএস বনানী দাস চক্রবর্তী বলেন,কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে।সমবায়টির ফাইনাল রির্পোট তৈরি না হওয়ায় অডিট করা সম্ভব হয়নি।দ্রুত সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করছি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584