শ্যামল রায়,কাটোয়াঃ
প্রচণ্ড অভাব। তবুও পড়াশোনায় হাল ছাড়েনি কাটোয়ার বৈশাখী। এবছর বৈশাখী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪৫০ নম্বর পেয়ে স্কুলের মধ্যে যেমন প্রথম হয়েছে তেমনি এলাকাতেও ভালো ছাত্রী হিসেবে পরিচিতি পেয়ে গিয়েছে। এলাকার মানুষ বলছেন যথেষ্ট অভাবী সংসার তবুও বৈশাখী উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফল করেছে এটা প্রশংসার দাবি রাখে।
কাটোয়া 2 নম্বর ব্লকের অধীন জগদাননদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোড়ানাশ উচ্চ বিদ্যালয় এর ছাত্রী বৈশাখী। বাড়ি মুসতুলী গ্রামে।
রবিবার বৈশাখী মণ্ডল জানালো যে সে বাংলায় অনার্স নিয়ে পড়ে একজন আদর্শ শিক্ষিকা হবার স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু একজন আদর্শ শিক্ষিকা হবার পিছনে পারিবারিক সচ্ছলতা দরকার এ কথা জেনেও সকলের কাছে আবেদন রেখেছেন তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য।
বাবা সুফল মন্ডল একজন তাঁতি। অন্যের কাছ থেকে তাঁত এনে কাপড় বুনন করে মজুরি পান। মা চরকায় সুতো কাটে এবং বৈশাখী ও চরকায় সুতা কেটে সংসারটা চালান।
বাবা সুফল মণ্ডল জানালেন যে মেয়ে আগাগোড়াই পড়াশোনায় ভালো ছিল। কিন্তু ভবিষ্যৎ উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রে যে অর্থের প্রয়োজন তিনি সেই অর্থ কি করে জোগাড় করবেন চিন্তায় রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।
তবুও মা সুমিত্রা দেবী হাল ছাড়তে নারাজ।
কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়লেও ভেঙে পড়েননি তিনি।
মেয়ে যতদূর পড়াশোনা করতে চায় তিনি রাত দিন সমান করে পরিশ্রম করে মেয়ের পড়াশোনার খরচ জোগাড় করবেন এমনটাই জানিয়ে দিলেন রবিবার।
সেই সাথে সুমিত্রা দেবী এলাকার বিশিষ্ট জনদের কাছে আবেদন রেখেছেন তারা যেন কিছুটা হলেও সাহায্য করে থাকেন মেয়েকে পড়াশোনার জন্য।
বৈশাখীর নম্বর বাংলায় ৮৬, ইংরেজিতে ৮০,শিক্ষাবিজ্ঞানে ৯৩, ভূগোলে ৯২, ইতিহাসে ৮৫, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৯৩, পেয়ে সফলতা অর্জন করেছে এলাকায়। স্কুলে হয়েছে প্রথম। ভালো ফলাফল করলেও চিন্তিত উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রে কিভাবে অর্থ জোগাড় করবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584