সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
দেখুক পাড়া পর্সিতে কেমন মাছ ধরেছি বঁড়শিতে।এমন কথার গান মনে করিয়ে দেয় বাংলার বিভিন্ন পুকুর থাকা দেশি মাছ আর বাঙালির আড্ডার দিনগুলিকে।মাছ শিকারে ব্যস্ত মৎস শিকারিরা।সবে শেষ হয়েছে মহরম।ছুটির আমেজ যায়নি মুসলিম সম্প্রদায় মানুষদের ।
আর তার সঙ্গে লেগেছে পূজার হাওয়া।তাই মেছুরে বাঙালিরা এখন ছুটি কাটাতে ব্যস্ত ঝিলের পাশে বসে মাছ শিকার করে।আকাশে ছেড়া তুলার মেঘ সঙ্গে কাশফুলের ঢেউ।মনে করিয়ে দিচ্ছে এটা পূজার সময়।তাই ছুটি কাটাতে অনেকে বেছে নিচ্ছে মাছ শিকারে।তা আবার টিকিট কেটে ঝিলের পাশে কিলোর পর কিলো মাছ ধরতে।
রীতিমতো ভির জমানোর পাশাপাশি মাছ ধরা নিয়ে ব্যস্ত এই জেলার পাশাপাশি ভিন জেলার মেছুরেরা।দক্ষিন ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর বিধানসভার পূর্ব বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েত।যে পঞ্চায়েতে রয়েছে প্রত্যন্ত গ্রাম গন্ধবাদুলি।আর এই গ্রামে ছ’বিঘা জায়গার উপরে রয়েছে মেছুরেদের টিকিট কেটে মাছ ধরার আশা ঝিল।পাঁচ বছর ধরে জেলার পাশাপাশি ভিন জেলার বহু মানুষ আসেন মাছ ধরতে।
তিন হাজার টাকা টিকিট কেটে সারাদিন খাওয়া দাওয়া সঙ্গে মাছ ধরা নিয়ে ছুটির আমেজে মেতেছেন মেছুরেরা।শুরু মৎসশিকারি আনন্দ করছে তা নয়।তাদের আনন্দ ভাগ করতে হাজির হন গ্রামের প্রবিন নবিনরা।সপ্তাহে দুদিন ধরে জলে মৎস শিকারের মোহরা চলে।
কাতলা, পোনা,রুই, রুপচাঁদ মাছ রয়েছে এই আশা ঝিলে ।একটা সময় সুন্দরবন লাগোয়া গন্ধবাদুলি গ্রামের মানুষ মৎস শিকার করতে নদীতে যেতেন।কেউ আবার অনত্র যেতেন।নেশা আজ পেশায় রুপ নিয়েছে এই এলাকার মানুষদের জীবনে।
কলকাতা থেকে মাত্র সাতকিলোমিটার দুরেই রয়েছে মনরম প্রকৃতির বিশাল আকৃতির ঝিল।যা ছুটি কাটাতে ভির জমিয়েছেন বহু মানুষ । বর্ষা নামলে শুরু হয় ঝিলের ব্যবসা।পূজার মরসুম আসলে রমরমিয়ে চলে মেছুরেদের মাছ শিকারের পালা।
বকখালি হোক কিংবা সুন্দরবনের অন্য কোথাও।মেছুরেরা বেছে নেন বিষ্ণুপুরের আশা ঝিলকে।তাই মৎস শিকারিদের নিয়ে পূজার মাসে মেতে থাকেন গন্ধবাদুলি এলাকাবাসি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584