পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
অরন্য সপ্তাহে ঘটা করে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি।ক্যামেরায় ছবি।একটি গাছ একটি প্রাণ স্লোগানের বিপরীতে উল্টো ছবি। একের পর এক গাছকে নির্বিচারে কেটে ফেলা হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। কখনো প্রশাসনের অনুমতিতে কখনো বা বিনা অনুমতিতে লুকিয়ে লুকিয়ে।আর নির্বিচারে গাছ কাটার এমনই এক উদাহরণ মিলল বীরভূম সিউড়িতে।সিউড়ি থেকে খটঙগা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রায় সাত থেকে আট কিলোমিটার দীর্ঘ জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে থাকা এই রাস্তা,কিন্তু রাস্তা সরু হওয়ায় শুরু হয়েছে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ।কিন্তু এখানেই বিপত্তি,রাস্তা সম্প্রসারণ করতে গিয়ে কেটে ফেলা হচ্ছে একের পর এক বড় বড় গাছ। ছোট বড় সব মিলিয়ে প্রায় একশ থেকে দেড়শ গাছ কেটে ফেলা হয়েছে এই রাস্তায়।যদিও বনদফতরের দাবি চল্লিশ-পঁয়তাল্লিশটি গাছ কাটার অনুমতি রয়েছে এই রাস্তা তৈরিতে।কিন্তু বাস্তবে এর থেকে অনেক বেশি গাছ কাটা হয়েছে।
গাছপ্রেমী উজ্জ্বল রায়ের বক্তব্য অনুমতি থাকুক বা না থাকুক এইভাবে নির্বিচারে গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে। গাছ কেটে নেওয়ার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ,সরকার যখন একদিকে বলছে গাছ লাগাও অন্যদিকে ঠিক উল্টোভাবে নির্বিচারে কেটে ফেলা হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক গাছ।” একটি গাছ একটি প্রাণ” এই স্লোগানকে মিথ্যা প্রমাণ করছে এই ভাবে নির্বিচারে গাছ কাটাতেই।বৃক্ষপ্রেমী মানুষজনের আরো দাবী বনদফতর এত বড় বড় গাছ কিভাবে কাটার অনুমতি দিল? এখনকার দিনেতো আর গাছকে কেটে ফেলতে হয় না, আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত করা যায় গাছকে।তাহলে কেন কাটার ফেলার সিদ্ধান্ত নিল বীরভূম জেলা পরিষদ, কেনই বা অনুমোদন দিল বনদফতর।ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার হরেকৃষ্ণানের জানান ৪০ থেকে ৪৫ টি গাছ কাটার অনুমোদন রয়েছে তাদের কাছে ,এর থেকে যদি বেশি গাছ কাটা হয় তাহলে আমরা অবশ্যই পদক্ষেপ নেব।যদিও উজ্জ্বল বাবু মানতে নারাজ একথা, তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন এই বিষয়ে প্রতিবাদ গড়ে তোলার সময় এসেছে।গাছ কাটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হতে হবে আমাদের।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ ইটাহার,আহত ৩ পুলিশকর্মী
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584