নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে ‘ডান্স ডান্স জুনিয়র সিজন টু’। পশ্চিমবাংলা সহ অন্যান্য রাজ্য থেকেও প্রতিযোগিতার মঞ্চে নিজের গুণ দেখাতে আসবে লিটল স্টারেরা।
চ্যানেল আয়োজিত ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে এসে বিচারক দেব জানান- “ছোট ছোট বাচ্চাগুলোর নাচ দেখে আমি অবাক। সত্যি বলছি, ওই বয়সে আমি ওদের মতো নাচতাম না। তা হলে হয়ত আরও ভাল অভিনেতা হতে পারতাম। আরও অবাক হই, ওদের অভিভাবকদের উৎসাহ দেখে।
আমাদের সময়ে বাবা-মা’দের এত উৎসাহ ছিল না। তখন অবশ্য এত প্ল্যাটফর্মও তৈরি হয়নি৷ এখনকার বাবা-মা’দের দেখি কী ভীষণ উৎসাহ তাঁদের ছেলেমেয়েদের প্রতিভা সর্বসমক্ষে নিয়ে আসার। আমি ওই সব ছোট ছোট ডান্স মাস্টারদের যেমন স্যালুট জানাই তেমনি কুর্নিশ দিই ওদের অভিভাবকদের। এভাবেই ওদের পাশে থাকুন। তা হলেই আগামীদিনের স্টার খুঁজে পেতে অসুবিধা হবে না ইন্ডাস্ট্রির।”
আরও পড়ুনঃ ১৮’য় পা! পুলিশ ফাইলসের নতুন সঞ্চালক সুদীপ মুখার্জি
আরেক বিচারক মনামীও ওই সব ছোটে ওস্তাদদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বলেন- “ওদের কাছ থেকে আমাদেরও অনেক কিছু শেখার আছে। এতটুকু বয়সেই ওরা দারুণ গুণী। ওদের পারফরম্যান্স চোখ ধাঁধিয়ে দেবে। আর এখানে বিচারক হিসেবে নিজেকে দেখতে পারব তাতে আরও খুশি প্রথম দিন থেকে, যেদিন দায়িত্বটা আমায় দেওয়া হয়। নাচ ঘিরে কোনওকিছু মানেই আমি আছি সেখানে। এই দায়িত্বটা আসার পর আমি দু’বারও ভাবিনি। আমি এর আগেও বহু ডান্স রিয়ালিটি শো-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলাম।
ফলে, আমি ব্যাকস্টেজের স্টোরিটা জানি। কস্টিউম, মেক আপ, হেয়ার, গান মিক্সিং- অনেককিছুই চলে ব্যাক স্টেজে। এবং তা বেশ ইন্টারেস্টিং। শেষ মুহূর্তে অনেককিছু পাল্টেও যায়। ফলে, ব্যাক স্টোরিটা জানার পর যখন ওদের স্টেজে দেখব তখন বিচারের ক্ষেত্রেও বাড়তি সুবিধা পাব।”
আরও পড়ুনঃ নবম বর্ষে ‘বেহালা ক্ল্যাসিক্যাল ফেস্টিভ্যাল’
মনামীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি নিজে একজন গুণী নৃত্যশিল্পী। তিনি কখনও বাচ্চাদের নাচ শিখিয়েছেন? মনামী জানান- “না। সেভাবে প্রফেশনালি নাচ শেখানোর কথা ভাবিনি কখনও৷ তবে, অভিনেত্রী হিসেবে কেরিয়ার শুরু করার সময় যে পাড়ায় আমি থাকতাম সেই পাড়ার ক্লাবে দুর্গা পুজো হত।
নানা জায়গা থেকে ষষ্ঠীর দিন৷ শিল্পীরা এসে নাচ, গান করত। পাড়ায় যে ভাবেই হোক রটে গেছিল, মনামী ঘোষ এখন এই পাড়াতেই থাকেন। তিনি ভাল নাচ করেন। তো একদিন কয়েকজন এসে বলল, আমরা আমায়দের পাড়ার অনুষ্ঠানে নাচ করব। আমাদের তৈরি করে দিতে হবে। আমি রাজি হই। সেই থেকে যত দিন ওই পাড়ায় আমি ছিলাম ওই দায়িত্ব এড়িয়ে আমি বেরিয়ে আসিনি কখনও৷ ব্যস, ওই টুকুই। এই শেখানোর পিছনে কোনও টাকার লেনদেন ছিল না। ছিল শুধুই আন্তরিকতা আর ভাল লাগা।”
প্রতিযোগিতার আরও এক বিচারক মিঠুন চক্রবর্তী। বেশ অনেকদিন পর টেলিভিশনে কামব্যাক তাঁর। তিনি অবশ্য ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে হাজির ছিলেন না। তাঁর কথা প্রসঙ্গে দেব জানান- “কদিন আগে এম জি-কে নিয়ে রটেছিল যে তিনি অসুস্থ। এটা জাস্ট ভুয়ো খবর। মিঠুন দা ভাল আছেন। শুটিং করছেন। প্রচুর মজা করেন উনি সেটে। আমি ওই রটনায় বশীভূত হয়ে ফোন করেছিলাম উনি ভাল আছেন কিনা জানতে। রীতিমতো বকা খেয়েছি প্রশ্নের পর।”…
মিঠুন প্রসঙ্গে মনামী জানান- ” মিঠুন দা মজার মানুষ। দুটো সিরিয়াস কথা বললে চারটে মজার কথা বলেন। আমি আর দেব পাশাপাশি বসব। আমাদের ঠিক উলটোদিকের সিটে মিঠুন দা বসবেন। সবমিলিয়ে দারুণ একটা প্যানেল তৈরি করা হয়েছে। শুটিং শুরু হয়ে গেছে। খুব মজা হচ্ছে।”
“সঞ্চালনায় থাকবে লাড্ডু এবং উদিতা। ওদের সঙ্গে মহাগুরুর খুনসুটিতে দর্শক আগের মতোই মজা পাবে। ১০ থেকে ১৪ বছর অবধি বেঁধে দেওয়া হয়েছে প্রতিযোগীদের বয়ঃসীমা৷ সব ধরনের সাবধানতা মেনেই শুটিং চলছে, চলবে।” –জানান প্রযোজক শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায়।
১৬ জানুয়ারি থেকে প্রতি শনি ও রবিবার রাত সাড়ে ৯ টায় দেখুন ‘ডান্স ডান্স জুনিয়র সিজন টু’, শুধুমাত্র স্টার জলসায়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584