নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্ট:
৯১ বছর বয়স্ক বৃদ্ধ ওডিশি নৃত্যগুরু মায়াধর রাউত- কে দিল্লির এশিয়ান গেমস ভিলেজের সরকারি আবাসন থেকে উচ্ছেদ করলো মোদি সরকার। তাঁর কন্যা অভিযোগ তুলেছেন, ৯১ বছরের বৃদ্ধর ফ্ল্যাটে ঢুকে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় নৃত্যগুরুর যাবতীয় জিনিসপত্র। এমনকি ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় শিল্পীর পদ্মশ্রী সম্মাননার মানপত্রও। ভারতের রাষ্ট্রপতির দেওয়া পদ্মশ্রী সম্মান ভূলুণ্ঠিত দিল্লির রাস্তায়, এই ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সরকারের যক্তি, লিজের মেয়াদ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে সরকারি ওই ফ্ল্যাটের। আশির দশকে কেন্দ্রীয় সরকারের শিল্পী কোটায় সরকারি আবাসন লিজে পেয়েছিলেন মায়াধর-সহ ২৮ জন শিল্পী। কিন্তু সেই লিজের মেয়াদ শেষ হয় ২০১৪ সালে। কিন্তু এরপরেও মায়াধর রাউত সহ ৮ জন শিল্পী ওই সরকারি আবাসন ছাড়েননি। এর পরে উচ্ছেদের নোটিস জারি হয়। সরকারের সেই নোটিস চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শিল্পীরা কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। এর পরে তাঁদের নোটিশ পাঠানো হয় যে, ২৫ এপ্রিলের মধ্যে তাঁদের ঘর ছাড়তে হবে। সেই চূড়ান্ত সময়সীমা পেরোনোর পরেই হয় সরকারি উচ্ছেদ প্রক্রিয়া।
ঘটনার আকস্মিকতায় আশ্চর্য হয়ে গিয়েছেন, পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত নৃত্যগুরু মায়াধর রাউত ও তাঁর পরিবার। উল্লেখ্য, ৯১ বছর বয়স্ক এই নৃত্যশিল্পী শারীরিকভাবে অত্যন্ত অসুস্থ । নৃত্যশিল্পীর কন্যা মধুমিতা বলেন, “মোদী সরকারের আমলে শিল্পীদের যে কোনও সম্মান নেই, এই ঘটনাই তার প্রমাণ।” পাশাপাশি, ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধির আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, রাজীব গাঁধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন পদ্মশ্রী সম্মাননা এবং সরকারি আবাসন পেয়েছিলেন নৃত্যগুরু মায়াধর রাউত। মধুমিতা জানিয়েছেন, সরকারি এই আবাসনের লিজের মেয়াদ ২০১৪ সালে শেষ হলেও তাঁদের বিষয়টি জানানো হয় ২০২০ সালে। তিনি বলেন, উচ্ছেদ নিয়ে তিনি কোনো আপত্তি করছেন না কিন্তু যেমন অমানবিক ভাবে এই প্রক্রিয়া চালানো হয়েছে তাতে তিনি হতবাক। মধুমিতা বলেন, যে ভাবে উচ্ছেদ প্রক্রিয়া চালানো হয়েছে সে ঘটনায় তাঁর অসুস্থ পিতার প্রাণহানিও হতে পারতো।
আরও পড়ুনঃ
নীরব কেন মোদি! দেশজুড়ে সংখ্যালঘুদের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষ, প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি প্রাক্তন আমলাদের
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584