রামপুরহাটের কুসুম্বা গ্রামে এসবিআই শাখায় দুঃসাহসিক ডাকাতি

0
103

পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
বীরভূমের রামপুরহাটে কুসুম্বা গ্রামে রয়েছে এস.বি.আইয়ের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের একটি শাখা। সেই শাখায় গতরাতে দুঃসাহসিক ডাকাতি ঘটনা ঘটেছে।গতরাতে চারজনের একটি ডাকাতের দল ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শাখায় হানা দিয়ে ডাকাতির করে।ব্যাংকের ওই শাখায় থাকা ভল্ট ভেঙে তারা লক্ষাধিক টাকা নিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ।

kusumba state bank
নিজস্ব চিত্র

গতকাল গভীর রাতে চারজনের ওই দুষ্কৃতী দল পিছনের জানালা দিয়ে ব্যাংকের ভিতরে ঢুকে। ভিতরে ঢুকিয়ে তারা প্রথমেই সি.সি.টিভি ক্যামেরা গুলি টাওয়াল দিয়ে ঢাকা দিয়ে দেয়। ব্যাংকের ওই শাখায় যে ঘরে রয়েছে ব্যাংকের ভল্ট সেই ঘরে ঢুকে তারা প্রথমে সি.সি.টিভি ক্যামেরা নষ্ট করে দেয়। এরপর ঘন্টা দুয়েক তারা নিশ্চিন্তে ভল্ট ভাঙ্গা এবং অন্যান্য কাজকর্ম চালাতে থাকে। ভল্ট ভাঙ্গার জন্য তারা গ্যাস কাটারের ব্যবহার করেছে বলে জানা গিয়েছে। গ্যাস কাটার দিয়ে ব্যাংকের ভল্ট কাটার পর তারা ওই ভল্টে থাকা লক্ষাধিক টাকা লুট করে নিয়ে চলে যাই। যদিও এখনো ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়নি যে কত পরিমান টাকা লুট হয়েছে। তবে লুট হওয়া টাকার পরিমাণ যে বিপুল তা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কথাতেই বোঝা যাচ্ছে।ঘটনার খবর পেয়ে ওই ব্যাংকের শাখায় সকালেই পৌঁছেছে রামপুরহাট থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই তাদের তরফ থেকে এই ডাকাতির ঘটনায় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের দল সি.সি.টিভি ক্যামেরা ঢাকা দিয়ে দিলেও তারা সি.সি.টিভি ক্যামেরার যে হার্ডডিস্ক সেটি নিয়ে যেতে পারেনি। সেই হার্ডডিক্সের সূত্র ধরেই রামপুরহাট থানার পুলিশ খতিয়ে দেখছে দুষ্কৃতীরা কোথায় থেকে বা কি ভাবে এসেছিল।
এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেছেন, এই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ধারে পাশে কোন সিভিক অথবা পুলিশের পাহারাদাড়ি ছিল না রাত্রিতে। এমন একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে পুলিশি টহলদাড়ি না থাকায় প্রশ্নের মুখে প্রশাসনিক দায়িত্বও।যদিও রামপুরহাট থানার তরফ থেকে ব্যাংকটির সিসিটিভি ক্যামেরার হার্ডডিক্সের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করা হয়ছে ইতিমধ্যেই।

আরও পড়ুনঃ সিউড়ি সংশোধনাগারে অনশনে বসল বিচারাধীন বন্দিরা

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here