সিমা পুরকাইত,দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃবজবজ পৌরসভার বজবজ থানার চড়িয়াল বটতলার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা।ঘটনা কেন্দ্র করে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।মৃত গৃহবধূর নাম মণিশা ঘুড়ঁই(২০)। বজবজ থানার পূজালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে বাসিন্দা।প্রেম করে বিবাহ হয় গৃহ শিক্ষক সৌস্তব ঘুড়ঁই।বজবজ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চড়িয়াল বটতলায়(সাড়ে তিন বছর আগে) ।বিবাহের পর বেশ কিছু দিন সুখে শান্তিতে সংসার করছিল।তারপর দিনে দিনে কৌস্তুভ ঘঁড়ুইয়ের দেনা পাওনা চাহিদা বাড়তে থাকে।যেমন, খাট আলমারি কখনও পঞ্চাশ হাজার,কখনও কুড়ি হাজার টাকা। এইভাবে চলতে থাকে মেয়ের সুখের জন্য বেশ কিছু বার টাকাও দেয় মণিশা ঘুড়ঁইয়ের বাবা মা।মাঝে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেয় মণিশা ঘুড়ঁই।প্রতিদিনই অশান্তি লেগেই থাকত এইভাবে চলতে থাকে মণিশা ঘুড়ঁই।বাপের বাড়ির লোকজনের আগে বজবজ থানায় জেনারেল ডাইরি করে কৌস্তুভ ও তার পরিবারের লোকজনে বিরুদ্ধেই।এরপরেই অশান্তি চরম জায়গায় গিয়ে পৌঁচ্ছায়।
দিন কুড়ি আগে মণিশা ঘুড়ঁইয়ের বাবা মারা যায়,তারপরেও ফোনে কৌস্তুভ একটি আলমারি দাবি করে শাশুড়ি রাখি দাসের কাছে,দিতে অস্বীকার করাই সংসারে অশান্তি আরো বাড়তে থাকে।মৃত মনিশার বাপের বাড়িরলোকজনের অভিযোগ যে জামাই কৌস্তুভ ঘুড়ঁই মেরে গলাই দড়ি বেঁধে ঝুলিয়ে দিয়েছে।খবর পেয়ে বজবজ থানায় মেয়ের দেহ দেখি।যদি সে গলাই দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হবে তাহলে আমরা না আসা পর্যন্ত দেহ কেন নামালো নানা প্রশ্ন তুলছে।তদন্তে নেমেছে বজবজ থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের লোকজনের হাতে দেহ তুলে দেবে বজবজ থানার পুলিশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584