নিজস্ব সংবাদদাতা,মালদহঃ
মেলা ঘুরতে গিয়ে বচসা।এর পর কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি,এক ব্যক্তিকে মারধর করা হয় এরপর হাসপাতালে ভর্তি হয় সে।টানা দশ দিন চিকিৎসার অবশেষে মৃত্যু হয় ঐ ব্যক্তির।অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন মৃত ব্যক্তির পরিজনরা।ঘটনাটি ঘটেছে মালদার মানিকচক থানার ধরমপুর অঞ্চলের ঝাইটনটোলা গ্রামে।ঘটনার পরেই পলাতক অভিযুক্তরা।
পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, মৃতের নাম উত্তম মন্ডল(৪৫)।তিনি পেশায় দিনমজুর ছিলেন।ধরমপুর অঞ্চলের কামতবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা।অভিযুক্তরা হলেন ,পবন দাস, স্বপন মন্ডল, ভোগীরথ দাস।অভিযুক্তরা ঝাইটনটোলা গ্রামের বাসিন্দা।এই তিন জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, প্রতি বছরের মত ঝাইটনটোলা গ্রামে ১৪ই এপ্রিল চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে চড়ক পূজার মেলার আয়োজন করা হয়েছিলো।গ্রামবাসীরা যে যার মতো মেলা প্রাঙ্গনে আনন্দ উপভোগে এসেছিলেন।অন্যান্যদের মতো পাশের গ্রাম কামতবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা উত্তম বাবুও এসেছিলেন।সেই সময় উত্তম বাবুর সাথে মেলায় উপস্থিত থাকা কয়েকজন ব্যক্তির সাথে ঢোল বাজানো নিয়ে বচসা হয় এরপর এমন ঘটনা।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ,বচসা থেকে উত্তম মন্ডলকে মারধর শুরু করে দেয় তিনজন ব্যক্তি।বেধড়ক মারধরে গুরুতর আহত হয় উত্তম মন্ডল।তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মানিকচক গ্রামীন হাসপাতাল ও সেই রাতেই তাকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।তবে আঘাত গুরুতর থাকায় মেডিক্যালের চিকিৎসকেরা পরিবারের সদস্যদের কলকাতা স্থানান্তরের পরামর্শ দেন কিন্তু পরিবারের আর্থিক সংকট থাকায় গ্রামবাসীরা মিলিত হয়ে মালদা শহরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করান।সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় আক্রান্ত উত্তম মন্ডলের।
আরও পড়ুনঃ ভোট পরবর্তী আক্রমণে আক্রান্ত কংগ্রেসের বুথ এজেন্ট
তারপর এদিন রাতেই মানিকচক থানায় মৃতার স্ত্রী ছায়া মন্ডল অভিযুক্ত পবন দাস,স্বপন মন্ডল, ভোগীরথ দাস এর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।দোষীদের শাস্তি সহ ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছেন মৃতার পরিজনেরা।অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে মানিকচক থানার পুলিশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584