পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
গ্রাম্য বিবাদ নাকি রাজনৈতিক খুন তা সময় বলবে। নানুর থানার হাটসেরান্দি গ্রামে গুলি করে খুন করা হল এক মহিলাকে। মৃত মহিলার নাম শংকরী বাগদি। লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই যেভাবে একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটে চলেছে বীরভূমে তা কার্যত মনে করিয়ে দিচ্ছে সিপিএমের হার্মাদ বাহিনীর এলাকা দখলের ছবি। গ্রামে থাকতে হলে সিপিএম করতে হবে তেমনি এখন গ্রামে থাকতে হলে তৃণমূল করতে হবে কোনোভাবেই অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়া যাবে না। মৃত মহিলাকে নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি দুই রাজনৈতিক দল দাবি করেছে গুলিবিদ্ধ মৃত মহিলা তাদের সমর্থক।

মৃত শংকরী বাগদীর পরিবারের দাবি, বিজেপি কর্মী সন্দেহে ওই গ্রামের পাশের পাড়ার মালপাড়ার ৮-১০ জন তৃণমূল দুষ্কৃতী এসে পশ্চিম পাড়ায় এসে আক্রমণ চালায়, চলে গুলি। ঘটনায় পশ্চিমপাড়ার বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার পাশাপাশি গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। ঘটনার পর এলাকার বাসিন্দারা ওই মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পুলিশ বারংবার বোঝানো সত্ত্বেও তারা দেহ তুলতে দিচ্ছে না। গ্রামবাসীদের দাবি যতক্ষণ না দোষীদের ধরা হচ্ছে ততক্ষণ দেহ তুলতে দেওয়া হবে না।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। ঘটনায় এক দল আরেক দলকে দোষারোপ করতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে পুলিশ দেহ তুলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে।
মৃত মহিলার আত্মীয় বৈদ্যনাথ বাগদি জানান, “মালপাড়ার খুদু বাগদি, কালাম বাগদি, সন্তোষ বাগদি, রঘুনাথ বাগদি, মেনকা বাগদি, মিলন বাগদি আরও কয়েকজন দল বেঁধে বন্দুক, আরো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে আমাদের উপর হামলা চালায়। তারপর আমাদের কয়েকজনকে মারধর করে শংকরী বাগদীকে গুলি করে দিয়ে চলে যায়। গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।”
নানুর ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন যে, মহিলা মারা গেছেন তার পরিবার তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক এবং যাদের বিরুদ্ধে গুলি চালিয়ে মহিলাকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তারাও তৃণমূল কংগ্রেস করে কিন্তু এটা কোন রাজনৈতিক নয় দুই পরিবারের গ্রাম্য বিবাদকে কেন্দ্র করে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে পরিষ্কারভাবে পুলিশকে বলা হয়েছে নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীকে উপযুক্ত শাস্তি যেন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ স্ত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ায় স্বামীর জেল হেফাজত
অপরদিকে একেবারে উল্টো কথা বলছেন বীরভূম জেলার বিজেপির সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল তিনি বলেন বীরভূম জুড়ে তাদের সংকল্প যাত্রা চলছে নানুর থানার হাটসেরান্দি গ্রাম যে গ্রাম বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গ্রাম তাই অনুব্রত মণ্ডলের ফতোয়া গ্রামে কেউ বিজেপি করতে পারবেনা খুব সম্প্রতি যে মহিলাকে গুলি করে খুন করল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তিনি বিজেপি কর্মী অত্যন্ত ভাল সংগঠন করছিলেন তিনি তাই তাকে চক্রান্ত করে পারিবারিক বিবাদের নামে গুলি করে নৃশংসভাবে খুন করা হলো বিজেপি ওই মহিলার পরিবারের পাশে আছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584