নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় চলছে ঐতিহাসিক ধারাবাহিক ‘নেতাজি’। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস উঠে আসছে প্রতি পর্বে। তৎকালীন সময়, কাল, স্থান, পাত্র মেনে একে একে ধরা দিচ্ছেন স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে জড়িত মানুষগুলি, যাঁদের রক্তে রাঙা হয়ে তিরঙ্গা পতাকা উড়েছিল ভারতের মাটিতে৷ সময়ের নিয়ম মেনে এবার হাজির মহাত্মা গান্ধি। তাঁর সঙ্গে নেতাজি সুভাষের সম্পর্ক আসলে কেমন ছিল তা এবার স্বচক্ষে দেখার পালা দর্শকের।
আরও পড়ুনঃ প্রিয়াঙ্কার নতুন ধামাকা
গান্ধিজির চরিত্রে আসছেন দেবপ্রিয় মুখোপাধ্যায়, যিনি বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ। নাটক তাঁর প্রাণ, গান তাঁর রক্তে। এহেন দেবপ্রিয় আজকের গান্ধি। দিব্যি মানিয়েছে তাঁকে মহাত্মার চরিত্রে। নিজেই নিজের লুকের ছবি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
দিনকয়েক আগে স্টার জলসার সিরিজ ‘অলৌকিক না লৌকিক’-এ ভোম্বল চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। সেটি বেশ ডাকাবুকো গোছের চরিত্র ছিল।
আরও পড়ুনঃ শীঘ্রই মুক্তি পেতে চলেছে ‘বাকি এখনো দুই’
বয়স তিরিশের মধ্যে ঘোরাফেরা করলেও ইতিমধ্যেই বর্ষীয়ানের চরিত্রে অভিনয় করে ফেলেছেন তিনি। ‘মিতিন মাসি’ তার টাটকা উদাহরণ। গান্ধিজির চরিত্রটাই যদি ধরা যায় তা হলে দেবপ্রিয়কে এখন দেখানো হচ্ছে পঞ্চাশ বছর বয়সের চরিত্রে। শুধু বয়স নয়, দেবপ্রিয়র উচ্চতার সঙ্গে গান্ধীজির উচ্চতার অনেকটা ফারাক।
গান্ধীজি ছোটখাটো চেহারার মানুষ ছিলেন৷ দেবপ্রিয়র উচ্চতা ৬ ফুট ১ ইঞ্চি। সেদিক থেকেও দেবপ্রিয় নিজের ক্যারিশ্মা দেখাচ্ছেন। একটু ঝুঁকে শট দিচ্ছেন তিনি। যাতে মানুষের তাঁকে মহাত্মা ভাবতে অসুবিধা না হয়।
দেবপ্রিয় নাটক করেন ষোলো বছর ধরে। শুধু নাটকই নয়। নাটকের জন্য ব্যবহৃত গানও গান তিনি। বাবা মৃণাল মুখার্জি চাইতেন ছেলে সঙ্গীত শিল্পী হোক। ছেলে চাইতেন অভিনেতা হতে। তবে, বাবার মতো অভিনয় এবং গান দুয়েতেই সমান সাবলীল তিনি।
নিউজফ্রন্টকে দেবপ্রিয় জানান, “ছোটবেলায় ইতিহাস পড়তে ভাল লাগত না। কিন্তু কলেজে গিয়ে পার্শ্ব বিষয় হিসেবে ইতিহাস ছিল আমার। তখন খুব পড়তাম। আমি গান্ধিবাদে বিশ্বাসী নই কোনওদিনই। কিন্তু আজ যখন তাঁর চরিত্রে অভিনয় করছি তখন মনে হচ্ছে ওঁর মতো একজন মানুষের আমার দেশে খুব দরকার ছিল।
ওঁর দেখানো পথে হাঁটলে হয়ত আজ আমার দেশের মানুষের মনে এত হিংসা-দ্বেষ দানা বাঁধত না। আজ আমরা যে সময়ের মধ্যে দিয়ে চলেছি সেই সময়টা দেখতে হতো না হয়ত। মানুষটি আকার আয়তনে ছোট ছিলেন। কিন্তু ব্যক্তি হিসেবে খুব বড় ছিলেন।”
অনেকেই মনে করেন রাজনৈতিক দিক থেকে নেতাজি আর মহাত্মা একে অপরের শত্রু ছিলেন। আদতে তা নয়। সেই ভ্রান্ত ধারণা ঘোচাতেই এই এমনটাই খবর।
গান্ধিজির চরিত্রে অভিনয় করতে অনেক লেখাপড়া করছেন দেবপ্রিয়। মহাত্মার আত্মকথা যেমন পড়ছেন তেমনই জোগাড় করছেন ভিডিও ফুটেজ।
দেবপ্রিয় জানান,”গান্ধিজি পছন্দ করতেন না তাঁকে নিয়ে কোনও ভিডিও তৈরি হোক। তাই সেই সংখ্যাও খুব কম। অনেক খুঁজে বের করছি। ওঁর হাঁটাচলা, কথা বলা সব রপ্ত করছি ওখান থেকেই। একটু ঝুঁকে হাঁটছি। ওঁর মতো আস্তে আস্তে কথা বলছি শট না দেওয়ার সময়েও।”
দেবপ্রিয় আরও জানান, “সেটে সবাই প্রচুর খাটেন। সেটে ঢুকলেই মনে হয় অন্য এক জগতে পাড়ি দিয়েছি। এরকম একটা চরিত্র পাওয়া যেমন ভাগ্যের তেমনই এরকম বিষয় নিয়ে কাজ করতে যে কতটা পরিশ্রম, নিষ্ঠা, সততা থাকা দরকার তা আরও বেশি করে জানতে পারি রোজ সেটে গিয়ে৷”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584